যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল: পুড়ে ছাই হাজারো ঘরবাড়ি, মৃত বেড়ে ৩৫
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নতুন বিপর্যয়ের মুখে যুক্তরাষ্ট্র। দাবানলে পুড়ছে দেশটির পশ্চিম উপকূলের অঙ্গরাজ্যগুলো।
আলজাজিরা’র খবরে বলা হয়েছে, দাবানলে পুড়ে ওরেগন, ক্যালিফোর্নিয়া ও ওয়াশিংটন এলাকায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ক্যালিফোর্নিয়া ও ওরেগনের বাসিন্দা।
ক্যালিফোর্নিয়ায় আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোতেও। এর মধ্যে হাজার হাজার ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে ছয়টির মতো ছোট শহর। জ্বলছে ৪০ লাখ একর বনভূমি। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
ওরেগনের জরুরি সেবা দপ্তর জানিয়েছে, দাবানল ছড়িয়ে পড়া অঙ্গরাজ্যটিতে ২২ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
বাতাসের তোড়ে একের পর এক আবাসিক এলাকাকে আক্রান্ত করছে দাবানল। ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ মেডফোর্ডের ৫ মাইল দূরে ফোনিক্স-ট্যালেন্ট কমিউনিটির শত শত ঘরবাড়িতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে দাবানলে আক্রান্ত এলাকার পরিস্থিতি দেখতে সোমবার পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শনে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যালিফোর্নিয়াতে নেমে তিনি আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণা সারেন, যাতে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় দাবানলের প্রসঙ্গ।
তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেন, বন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে এ দাবানলের সৃষ্টি।
শনিবার বাইডেন জানিয়েছিলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে জনজীবনে দাবানলের মতো এসব দুর্ভোগ নেমে আসছে। অথচ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না। বাস্তবতাকে এড়িয়ে চলছেন।
তার জিজ্ঞাসা, ট্রাম্পের এ জলবায়ু সমস্যার অস্বীকার যদি আরও চার বছর থাকে, তাহলে কত শহরতলি দাবানলে পুড়বে? কত কত এলাকা বন্যায় প্লাবিত হবে?