ভোট চুরি: লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবিতে জনসমুদ্র মিনস্ক
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে বিরোধীরা।
আলজাজিরা জানায়, রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে রাজধানী মিনস্ক।
বিক্ষোভ না করতে নিরাপত্তা বাহিনীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। এ সময় তারা লাল-সাদা পতাকা হাতে ‘চলে যাও/তুমি একটা ইঁদুর’ স্লোগান দিতে থাকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলগা চেমোদানোভা জানান, রাজধানী মিনস্কসহ বেলারুশের প্রধান প্রধান শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রীয় ট্রাক্টর কারখানার সামনে পুলিশ একটি বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিলে কয়েকজন আহত হয় বলে জানায় রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
টানা ২৬ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোকে অনেকেই ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক বলেন। সিকি শতাব্দী ধরে ক্ষমতায় থাকার পর এই প্রথম বিপুল চ্যালেঞ্জের মুখে তার সাম্রাজ্য।
গত ৯ আগস্ট বেলারুশে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো। আর তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সভেৎলানা তিখানোভস্কায়া পেয়েছেন মাত্র ১০.১২ শতাংশ ভোট।
ভোটের এই বিপুল ব্যবধান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বেলারুশের সাধারণ মানুষ। কারণ ইতিপূর্বে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে পরাজিত প্রার্থী সভেৎলানা তিখানোভস্কায়ারও বিপুল জনসমর্থন রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল যেন ঠিক তার উল্টো।
স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের এমন অস্বাভাবিক ফলাফল মেনে নিতে নারাজ বেলারুশিয়ানরা। বিতর্কিত নির্বাচনকে ঘিরে বাড়তে শুরু করে গণ-অসন্তোষ। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজধানী মিনস্কসহ দেশের বিভিন্ন শহরে চলতে থাকে বিক্ষোভ।