২৫০ বছরের সাজা হতে পারে পর্নো তারকা রন জেরেমির
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত ছবির অভিনেতা রন জেরেমির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২৫০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে আছে তেরজন নারীর ওপর যৌন সহিংসতা, যাদের মধ্যে তের বছরের এক কিশোরীও রয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসের সরকারি আইনজীবীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৭ বছরের এই পর্নো তারকার বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চারজন নারীকে ধর্ষণ অথবা হামলার অভিযোগ ওঠে। তবে সম্প্রতি আলোচনায় আসা যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২০০৪ সালের দিকে।
পর্নোগ্রাফির জগতে রন জেরেমি খুব বড় একটি নাম, যিনি চার দশক জুড়ে সতেরোশ’র বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২৫০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রন জেরেমির আসল নাম রোনাল্ড জেরেমি হায়াত। তাকে গত জুন মাসে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তিনি ২৫ ও ৩০ বছর বয়সী দুজন নারীকে ধর্ষণ করেছেন। এ ছাড়া ৩৩ ও ৪৬ বছরের আরও দুজন নারীর ওপর হামলা করেছেন।
সেই সময় অভিযোগ নাকচ করে জেরেমির আইনজীবী বলেছিলেন, তার মক্কেল ‘চার হাজারের বেশি নারীর উপপতি’ এবং ‘নারীরাই তার প্রতি নিজেকে বিলিয়ে দেয়’।
তবে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস জানিয়েছে, জেরেমিকে আদালতে হাজির করার পরবর্তী কয়েক দিনে তার বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার আরও কিছু অভিযোগ পান আইনজীবীরা।
নতুন অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ১৩ জন নারীর ওপর অন্তত ২০ বার ধর্ষণ এবং যৌন হামলার মতো অভিযোগ। ভুক্তভোগীদের বয়স হবে ১৫ থেকে ৫৪ বছর।
সর্বশেষ যৌন হামলার ঘটনা ঘটেছে গত নববর্ষের দিনে হলিউডের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
২০১৭ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে জানায়, জেরেমির বিরুদ্ধে অনেক নারী যৌন অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আপত্তিকর স্পর্শ, ডিজিটাল মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও যৌন হামলা। তবে ম্যাগাজিনকে তিনি বলেছিলেন, ‘কখনোই কাউকে ধর্ষণ করেননি।’
সবচেয়ে বেশি পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করার জন্য গিনেস বুকের রেকর্ডে নাম উঠেছে জেরেমির। ২০০১ সালে তাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করা হয়। বেশ কিছু কম্পিউটার গেম, হলিউডের সিনেমা এবং মিউজিক ভিডিওতেও তিনি অভিনয় করেছেন।