যুক্তরাষ্ট্র এবং আমিরাত- ইসরাইলের ঐতিহাসিক বৈঠক
মধ্যপ্রাচ্যের তৃতীয় দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এই মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতে হয়। সে উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ইসরাইলের বিমানবন্দর থেকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আবুধাবিতে পৌছেছেন। এটিই ইসরাইল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম বাণিজ্যিক বিমানের ফ্লাইট। খবর ভয়েস অব আমেরকিার।
এর আগে মিশর ও জর্ডান ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারড কুশনার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান। রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দূত অ্যাভি বারকোভিটস এবং ইরানের দূত ব্রায়ান হুক।
অন্যদিকে ইসরাইলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মীর বেন-সাব্বাত, এবং এতে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিমানে আরোহণের আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় কুশনার বলেন, "যদিও এটি একটি ঐতিহাসিক বিমান যাত্রা, আমরা আশা করি এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও আরও ঐতিহাসিক ঘটনার সূচনা করবে।" বেন-শববত বলেন, এই সফরের লক্ষ্য চিকিত্সা, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করা।
সফরকালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা তাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন।
ইসরাইল ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হওয়ার পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে আমিরাত তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত শনিবার আমিরাত ১৯৭২ সাল থেকে ইসরাইলকে বয়কট করার কার্যকর একটি আইনের পরিবর্তন আনে। এ মাসের প্রথম দিকে দেশ দুটির মধ্যে সরাসরি টেলিফোন যোগাযোগ চালু করা হয়েছিল।