যুদ্ধবিমান ক্রয় নিয়ে বিরোধে আমিরাত-ইসরায়েল, বৈঠক বাতিল
সম্পর্ক স্বাভাবিক ঘোষণার পর মার্কিন যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে আপত্তি তোলায় ইসরায়েলের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিয়েছে আরব আমিরাতের।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছে আবুধাবি। আলজাজিরার খবর।
১৩ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
ওই চুক্তির পুরস্কার হিসেবে আমিরাতকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে সম্মত হয় হোয়াইট হাউস।
এ ব্যাপারে ট্রাম্পের ইঙ্গিতও পাওয়া যায়। গত সপ্তাহে তিনি ঘোষণা দেন, বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ নিয়ে আমিরাতের সঙ্গে একটি চুক্তি হতে পারে বলে মার্কিন নিরাপত্তার এক সূত্রে জানা যায়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পেতে আরব আমিরাত অনেকটা মরিয়া হলেও এতে নাখোশ ইসরায়েল।
আমিরাতের কাছে এই যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি জানান, আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিক্রির যে কোনও উদ্যোগের বিরোধিতা করবে তার দেশ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানায়, আমিরাতকে যুক্তরাষ্ট্রের এ যুদ্ধবিমান সরবরাহে ইসরায়েলের আপত্তিতে শুক্রবার ত্রিদেশীয় একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
তবে এরই মধ্যে ওই বৈঠকে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে আমিরাত। ফলে পুরোদমে সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তির পর ইসরায়েল-আমিরাতের মধ্যে নতুন টানাপোড়েন দেখা দিল।
এক্সিওস বলেছে বৈঠক বাতিল করে ইসরায়েলের প্রতি আমিরাত এ বার্তা দিতে চায় যে, যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে নেতানিয়াহুর আপত্তি দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত ঐতিহাসিক চুক্তির লঙ্ঘন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ইসরায়েলসহ মিত্র দেশগুলোর কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় আরব দেশগুলোর কাছে এ যুদ্ধবিমান বিক্রি করে না ওয়াশিংটন।