মহামারী যেতে দুই বছর লাগবে: ডব্লিউএইচও প্রধান
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। ব্রাজিলেও দীর্ঘ হচ্ছে মৃতদেহের সারি। দক্ষিণ এশিয়াতেও বাড়ছে সংক্রমণ। মে মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিস রিসার্চ অ্যান্ড পলিসির (সিআইডিআরএপি) গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, এ মহামারীর অবসান হতে লাগতে পারে দুই বছর।
এবার সেই গবেষকদের অনুমানই পুনর্ব্যক্ত করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস।
গতকাল শুক্রবার (২১ আগস্ট) জেনেভায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, এই মহামারী যেতে দুই বছর লাগতে পারে। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুর অবসান হতে লেগেছিল পাক্বা দুই বছর। তবে এবারেরটা যেতে দুই বছরের কম সময় লাগবে বলেই আশা করছেন তিনি। এতে তিনি ভরসা রাখছেন আধুনিক প্রযুক্তির ওপর।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে আমাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে ফলে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের হাতে এর বিস্তার ঠেকানোর জ্ঞান ও প্রযুক্তিও রয়েছে। এটি সম্ভব করতে জাতীয় ঐক্য এবং বৈশ্বিক সংহতির ওপর জোর দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
১৯১৮ সালের ফ্লু মহামারী কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। আর নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। আর সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটির বেশি।
এর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলেছিলেন, এই ভাইরাসের মহামারী শেষ হতে দুই বছর লাগতে পারে। এছাড়া বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
তারা আরো বলেছিলেন, এই ভাইরাস এমন মানুষও ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে, যাদের দেখে মনে হতে পারে তারা অসুস্থ নয়। যেকোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। যখন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে, তখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বিবিসি অবলম্বনে