ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২০ ১৮:২৪

কার্ড, পিন হাতিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট ৩৫ লক্ষ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
কার্ড, পিন হাতিয়ে অ্যাকাউন্ট
থেকে লোপাট ৩৫ লক্ষ টাকা

এটিএম কার্ড চুরি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পরিচারিকা, তার ছেলে এবং জামাইকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের কাছ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা কোথায়, তা নিয়ে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে বলে কলকাতা পুলিস জানিয়েছে।

সূত্রের খবর, রীতা রায় নামে ওই পরিচারিকা দক্ষিণ কলকাতার একটি বহুতলে এক বৃদ্ধকে দেখাশোনার কাজ করত। বৃদ্ধের মোবাইল, এটিএম কার্ড, আলমারির চাবি সব কিছুই পরিচারিকার কাছে থাকত। কিন্তু, এটিএম কার্ডের পিন নম্বর পরিচারিকার কাছে ছিল না। বৃদ্ধের ছেলে তা বাবার মোবাইলে সেভ করে রেখেছিলেন। তা জানত না পরিচারিকা। কিন্তু, আচমকা‌ই একদিন বৃদ্ধের মোবাইল ঘাঁটতে গিয়ে সেই নম্বর দেখে ফেলে সে। এরপর এটিএম কার্ডটি সে বাড়ি থেকে সরিয়ে ছেলে এবং জামাইকে দেয়। লকডাউনের কারণে এই সময় তাদের কোনও কাজ ছিল না। যে কারণে সংসারেও টাকার টান পড়েছিল। এটিএম কার্ড খুঁজে না পেয়ে বৃদ্ধের ছেলে সম্প্রতি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন।

এরপরই কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গত কয়েকমাসে এটিএম কার্ড কোথায় কোথায় ব্যবহার হয়েছে, সেই তথ্য ব্যাঙ্কের থেকে সংগ্রহ করে পুলিস। জানতে পারে, নদীয়ার করিমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট এবং হুগলির গুপ্তিপাড়ার  এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে। গত ২০ মার্চ থেকে ৩১ মে’র মধ্যে দফায় দফায় ওই চারটি এটিএম থেকে মোট ৩৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু, এটিএম কার্ড থেকে নিয়মিত টাকা তোলা হলেও ওই পরিবার সে সম্পর্কে কিছুই জানত না। এবিষয়ে অভিযোগকারী অনুরাগ আগরওয়াল পুলিসকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। তাঁদের একটি ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ পূর্ণ করেছে। সেই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে। এছাড়া আরও কিছু টাকা ছিল অ্যাকাউন্টে।

মোট কত টাকা অ্যাকাউন্টে আছে? তা দেখতে গিয়েই অনুরাগবাবুর নজরে আসে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা উধাও। তখনই টনক নড়ে তাঁর। খোঁজ শুরু হয় এটিএম কার্ডের। দেখা যায় সেটি নেই।  মোবাইল বাবার কাছে ছিল, তাতে টাকা তোলার মেসেজ এলেও তা দেখেননি পরিবারের অন্য কেউ। তবে পরিবারের কেউ বুঝতে পারেননি পরিচারিকা কার্ড চুরি করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে যাদবপুর থানায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা বিভাগ। জানা যায়, ওই পরিচারিকার বাড়ি নদীয়ায়। ব্যাঙ্ক থেকে তথ্য নিয়ে দেখা যায় চারটি এটিএম থেকে টাকা উঠেছে।

সেখান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চিহ্নিত করা হয় রঞ্জিত মল্লিক ও সৌমিত্র সরকারকে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জানায়, অভিযোগকারীর বাড়ির পরিচারিকা রীতা রায়ের কাছ থেকে তারা এই কার্ড পেয়েছিল। সে তাদের মা হয়। এরপর তাকে ধরা হয়। 

 

উপরে