শিক্ষক থেকে প্রধানমন্ত্রী, ‘সুপারহিরো’ হচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে ২০১৫ সালে দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জাস্টিন ট্রুডো। অনেকটা হুট করেই এক সময় রাজনীতিতে চলে আসা তরুণ এই রাজনীতিকের জনপ্রিয়তা এখন পুরো বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের অন্যতম এই জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে এবার দেখা যাবে কমিক বুকে।
জাস্টিন ট্রুডোর জীবনকাহিনী নিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে সুপারহিরো ধরনের কমিক বুক। প্রকাশনা সংস্থা ‘টাইডালওয়েভ প্রোডাকশনস’ তাদের গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘পলিটিক্যাল পাওয়ার’-এ এটি যুক্ত করতে যাচ্ছে।
ট্রুডোর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের নানা গল্প কমিকের মাধ্যমে হাজির করা হবে ওই বইয়ে। ২৪ পৃষ্ঠার ওই কমিক বই আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ পাওয়ার কথা।
জাস্টিনের বাবা পিয়েরে ট্রুডো ছিলেন কানাডার পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী। বাবার ওপর রাজনৈতিক পাদ-প্রদীপের আলো দেখে বেড়ে ওঠা জীবনের শৈশব থেকে শুরু করে, দুর্ঘটনায় ভাইয়ের মৃত্যু ছুঁয়ে, নিজ দেশের তেইশতম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে শিক্ষকতা- সব বাঁকই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বইটিতে।
জানা যায়, জো ক্লার্কের পর তিনি কানাডার দ্বিতীয় কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী। অটোয়াতে ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া ট্রুডো কলেজ জঁ-দ্য-ব্রেবফে পড়ালেখা করেন। তিনি ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এবং ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। আর স্নাতক শেষে ভ্যানকুভারের ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন তিনি।
টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন ট্রুডো। নির্বাচনে তার জয় অনেককেই চমকে দিয়েছে।
জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডোও দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে, তখন ট্রুডোম্যানিয়া নামে একটি শব্দও প্রচলিত হয়ে যায়।
জাস্টিন ট্রুডো প্রথম পরিচিত হন তার বাবার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে কথা বলে। সেটাই ছিল প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে দেশের উদ্দেশে তার প্রথম বক্তৃতা। মন্ট্রিলে নটরডেম গির্জায় তিনি তার বাবার স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বলেন, বাবা আমাদের জীবনের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসতেন। তিনি আমাদের নিজেদের বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন, অধিকারের জন্য লড়তে শিখিয়েছেন, দায়িত্ব নিতে শিখিয়েছেন।