ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২০ ১৮:৩৮

করোনা টিকার গণউৎপাদন করবে ভারত: ঘোষণা মোদির

অনলাইন ডেস্ক
করোনা টিকার গণউৎপাদন করবে ভারত: ঘোষণা মোদির

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখ পার হয়েছে। এই আবহে আজ শনিবার (১৫ আগস্ট) দিল্লির লালকেল্লায় ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি, দেশে একটি নয়, তিনটি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। 

তিনি বলেন, গবেষকরা জোর কদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হবে করোনা টিকার গণউৎপাদন। সরকার প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে ন্যূনতম সময়ে করোনার টিকা পৌঁছে দেয়ার রূপরেখাও তৈরি করে ফেলেছে।

তিনি আরো বলেন, কভিড-১৯ টিকা তিনটি এখন গবেষণার বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। তবে সেগুলোর উৎপাদন ও বণ্টন সংক্রান্ত রোডম্যাপ তৈরির কাজ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। 

রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনা টিকা আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেও ভারতে তৈরি প্রথম টিকা কোভ্যাক্সিনের এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। ফলে চলতি বছরে তা বাজারে আসবে কি না, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’-এর দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এমস) প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। জুলাই মাসে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা- ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির (এনআইভি) সহযোগিতায় কোভ্যাক্সিন তৈরি করার পরে সফল প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়। ভারতীয় সংস্থা জিডাস ক্যাডিলা ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াও করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার কাজ চালাচ্ছে।

মোদির বক্তৃতায় এসেছে জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের প্রসঙ্গও। এই মিশন চালুর ঘোষণা করে তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিক একটি স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র (হেল্থ আইডি কার্ড) পাবেন। প্রত্যেক বার ডাক্তারের কাছে বা ওযুধের দোকানে গেলেই ওই কার্ডের স্বাস্থ্য প্রোফাইল দেখা হবে। কোন ডাক্তার দেখেছেন, কী ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, রোগ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা যাবে।

করোনাকালে এন-৯৫ মাস্ক উৎপাদন, পিপিই কিট ও ভেন্টিলেটর তৈরিতে ভারতের সাফল্যের প্রসঙ্গও এসেছে লালকেল্লায় মোদির বক্তৃতায়। তিনি বলেন, ভারতে আগে মাস্ক, পিপিই, ভেন্টিলেটর তৈরি হত না। কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে আমরা সেই সাফল্য অর্জন করেছি। ১৩০ কোটি মানুষের ভারত শুধু দেশের জন্যই মাস্ক, পিপিই তৈরি করেনি বরং বিশ্বকেও তা দিয়ে সহায়তা করেছে। 

তিনি বলেন, এখন শুধু মেক ইন ইন্ডিয়ার পথ অনুসরণ করলে চলবে না। ভারতের নতুন মন্ত্র হবে ‘মেক ফর ওয়ার্ল্ড’।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাতবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন মোদি। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভারত অনেক দিন ধরেই বিশ্বের অন্যতম হটস্পট। বৈশ্বিক আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে দেশটি। সেখানো করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২৫ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। ৪৯ হাজার ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে এই তালিকায় আছে চতুর্থ স্থানে। -আনন্দবাজার পত্রিকা

 

 

উপরে