মুরগীর সঙ্গে করোনা গেল চিনে, চিকেন উইংস দেখলেই ভয় পাচ্ছে চিনারা
চিন্তার শেষ নেই। এবার প্যাকেটজাত খাবারেও প্রবেশ করেছে অদৃশ্য শত্রু। ব্রাজিল থেকে আসা হিমায়িত চিকেন উইংসে মিলেছে নোভেল করোনাভাইরাস। এমনই দাবি চিনের সেনজেন প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসনের। তাই ক্রেতাদের হিমায়িত প্যাকেটজাত খাবার কেনার ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে চিনের অন্যান্য প্রদেশে হিমায়িত খাবারের প্যাকেটে নোভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছিল। কিন্তু এবার মাংসেও মিলল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি।
মাংস এসেছিল স্যান্টা ক্যাটারিনার অরোরা অ্যালিমেন্টস প্ল্যান্ট থেকে। ওই প্যাকেটজাত খাবারের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যাক্তিরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এটাই আপাতত যা স্বস্তির খবর। এছাড়াও সেই খাবারের সঙ্গে থাকা বাকি দ্রব্যের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে হিমায়িত খাদ্য দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে চিনের শেনডং প্রদেশের উত্তরের ইয়ানতাইতে তিনটি প্যাকেটজাত হিমায়িত সামুদ্রিক খাবারের প্যাকেট থেকে মিলছিল নোভেল করোনাভাইরাস। একথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিল সেই প্রদেশের প্রশাসন।
মাস দুয়েক আগে প্যাকেটজাত চিংড়ি মাছ আমদানি বন্ধ করেছিল চিনের প্রশাসন। তার আগে জিনফাদির একটি পাইকারি বাজারে আমদানি করা সলমন মাছ কাটার একটি বোর্ডের ওপর ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। তার পর সলমন মাছ আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। চিনের বন্দরনগরী দালিয়ান ও জিয়ামেন শহরে আমদানি করা চিংড়ির প্যাকেটে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। প্যাকেটের ভেতরে কিংবা চিংড়িতে অবশ্য ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি সেবার। চিনের সরকার আগেই জানিয়েছিল, আমদানি করা হিমায়িত দ্রব্যে ভাইরাসের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বেশি। ইকুয়েডর থেকে চিংড়ি আমদানি আপাতত বন্ধ রেখেছে চিন।