ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০২০ ২০:০৮

মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ২০ বছরের মধ্যে রেকর্ড ধস

অনলাইন ডেস্ক
মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ২০ বছরের মধ্যে রেকর্ড ধস

করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কায় অনেক দেশের মতো বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতেও। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত কুড়ি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ধস নেমেছে বলে শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে বলা হয়েছে।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তথা এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আগের অর্থ বছরের ঠিক এই সময়ের তুলনায় মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ১৭.১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে।

২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ভাবের এই প্রথম অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব দেখল মালয়েশিয়া। বিশ্ব মন্দার ১১ বছর আগে এশিয়ান অর্থনীতিকে অস্থিরতার সময় এর চেয়ে বেশি সংকুচিত হয়েছিল এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ দেশটির অর্থনীতি।

ব্লুমবার্গ নিউজের এক জরিপে বলা হয়েছিল, চলমান মহামারির কারণে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি আগের বছরের তুলনায় ১০.৯ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে মন্দাটা আরও বেশি হচ্ছে।

মালয়েশিয়ান ব্যাংক কেনানগা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ সুহাইমি সাঈদি সতর্কতা উচ্চারণ করে জানিয়েছেন, পণ্যের চাহিদা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু না হওয়ার কারণে অর্থনীতি নেতিবাচক দিকে হাঁটছে।

সুহাইমি সাঈদি এএফপি’কে বলেন, পুরো অর্থবছরে তাদের অর্থনীতি আগের বছরের তুলনায় সংকোচন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাসের চেয়ে ৩.৫ থেকে ৫.৫ শতাংশ বেশি হতে পারে।

তবে সর্বোচ্চ মন্দা ভাবটা মালয়েশিয়া এরই মধ্যে পার করে এসেছে বলে মনে করেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান নুর শামসিয়াহ মোহামাদ ইউনুস- “একটা সম্ভাবনা নিয়েই আমরা দ্বিতীয় প্রান্তিক পার করেছি। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে।...আমার মনে হয়, সর্বোচ্চ বাজে অবস্থটা আমরা পেছনে ফেলে এসেছি।”

করোনা সংক্রমণ রোধে অনেকটাই সফল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ হাজারের কিছু বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা ১২৫ জন। কিন্তু সংক্রমণ রোধের কারণে আরোপিত লকডাউন অনেক ভোগাচ্ছে দেশটিকে।

মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের ওপরই বহুলাংশে নির্ভরশীল। দেশটির অর্থনীতিকে সবচেয়ে বড় অবদান পাম ওয়েল, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি।

 

উপরে