দুই কোটি ছাড়াল বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক জড়িপ সংস্থা ওয়ার্ডওমিটারের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ২৪ হাজার ২৬৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৫ জন। তবে করোনা থেকে সুস্থতার হারও কম নয়। ইতোমধ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছে। করোনা থেকে সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৮ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই ভাইরাস। তবে করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫২ লাখ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৪। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৭ জন।
তবে দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ৭০১ জন। সেখানে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ১২৬ জন। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১৭ হাজার ৮১২ জন।
এদিকে, সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১ হাজার ১৩৬ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে্ন ২১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ জন।
অপরদিকে, তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ১৪ হাজার ১৩৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ হাজার ৪৬৬ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৮ জন।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১৪ হাজার ৯৩১ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪২২ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১০ হাজার ৪০৮ জন। তবে দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৭৪ জন।
এছাড়া মেক্সিকো, পেরু, কলম্বিয়া, চিলি, স্পেন, ইরান, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইতালি, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, জার্মানি এবং ফ্রান্সেও সংক্রমণ বাড়ছে।