ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২০ ২০:২৭

ইসমাইল খালেদি ইসরায়েলের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
ইসমাইল খালেদি ইসরায়েলের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রদূত

সম্প্রতি ৩ নারীসহ যে ১১ জন কূটনীতিককে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে অন্যতম ইসমাইল খালেদি। 

ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল তার বর্ণবাদী অপবাদ ঘোঁচাতে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত হিসেবে এই আরব বেদুইনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রচণ্ড মেধাবী এই মেষ পালক গোত্র থেকে উঠে আসা আরব মুসলিমের নাম ইসমাইল খালেদি। খবর জেরুজালেম পোস্টের। কিন্তু তাকে এ পর্যন্ত আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসরায়েলে আরব বেদুইনদের বৈষম্যের বিষয়টি ফলাও করে বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন তিনি। ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির আস্থাভাজন এ আরব বেদুইন ২০০৪ সাল থেকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো কনসোলেট এবং যুক্তরাজ্যের ইসরায়েলি দূতাবাসেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি তাকে আফ্রিকার দেশ এরিত্রিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরায়েল।

আরব বেদুইনদের অধিকার আন্দোলনে বরাবরই সরব ছিলেন খালেদি। ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পেস্টে তিনি বলেন, আরব বেদুইনদের তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

প্রয়োজনে ইসরায়েলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়া উচিত।একজন কূটনীতিক হয়েও তার দেশের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছ পা হননি ইসমাইল খালেদি।

ইসরায়েলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন খালেদি।

'অ্যা শেফার্ডস জার্নি: দ্যা স্টরি অফ ইসরায়েলস ফার্স্ট বেদুইন ডিপ্লমেট' নামে গত জুনে একটি বই প্রকাশিত হয় খালেদির।এতে একজন মেষ পালক থেকে কিভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক হয়ে উঠেছেন- সেই কথা বর্ণনা করেছেন।

উপরে