মালয়েশিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া ২৬ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার
থাইল্যান্ড ঘেঁষা মালয়েশিয়ার উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশী রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ২৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিএনএ জানায়, রবিবার সমুদ্রে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে পরদিন মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড নিশ্চিত করেছে যে, এসব রোহিঙ্গাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, নৌকাডুবির পর সাঁতরে লাংকাউই দ্বীপের তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তারা।
তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হলেও আশপাশের দ্বীপে ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়।
রবিবার নৌকাটি থেকে সাঁতরে উপকূলে পৌঁছাতে পারা এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে দেশটির কোস্ট গার্ড।
এদিন মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলের কেদাহ ও পেরলিস রাজ্যের কোস্ট গার্ড প্রধান মোহামাদ জাওয়াউই আবদুল্লাহ জানান, সাঁতরে লাংকাউই দ্বীপের তীরে পৌঁছানোর পর ওই রোহিঙ্গা যু্বককে আটক করে পুলিশ। তার নাম নুর হোসেন, বয়স ২৭।
তিনি বলেন, এই অবৈধ রোহিঙ্গা আরও ২৪ জনের সঙ্গে নৌকা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। তিনিই কেবল সাঁতরে নিরাপদে তীরে পৌঁছাতে পেরেছেন।
এ ঘটনা জানার পর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে নামে কোস্ট গার্ড। পরদিনই বাকি রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেন তারা।
মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ জুবিল মাত সোম বলেন, তারা দ্বীপের মধ্যে ঝোপঝাড়ের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ এসব রোহিঙ্গাদের আটক করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের এই মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিদেশে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া ও পার্শ্ববর্তী মালয়েশিয়া পছন্দের ঠিকানা।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে এসব অবৈধ রোহিঙ্গাদের প্রবেশ থামাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার।
রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই মিয়ানমার বা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সমুদ্র পাড়ি জমায়। মৃত্যু হাতে নিয়ে প্রতিবছর বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে পৌঁছাতে গিয়ে প্রাণ হারায় অনেক মানুষ।