করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার রাজত্ব। করোনার প্রথম ধাক্কা শেষ না হতেই দ্বিতীয় ধাক্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ আমেরিকা নাকি দক্ষিণ এশিয়া কোনখানে করোনা তার পরবর্তী ভয়াবহ হামলা চালাবে তা নিশ্চিত নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি এশিয়ার তিনটি জনবহুল দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এরই মাঝে উঠে এসেছে দুনিয়া জুড়ে ১ কোটির কাছাকাছি রোগী সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যান। ওয়ার্ল্ডোমিটার জানাচ্ছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে। এই ভাইরাসের হামলায় রবিবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬১ লক্ষ ৯৮ হাজারের বেশি। সর্বশেষ হিসেবে সুস্থ হয়েছেন ৯৯ লক্ষ ১২ হাজার ২৯৮ জন। আক্রান্ত ও সুস্থ হওয়ার সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি।
করোনার ছোঁয়ায় কাতর বিশ্ব। উন্নত দেশগুলিতেই হামলা ও মৃত্যু সর্বাধিক। তুলনায় কম উন্নত দেশে করোনার হামলায় মৃতের সংখ্যা ততটা নয় বলেই বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্ট বেরিয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসের হামলা হলেও ১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেরে উঠেছেন ২০ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি ২. ব্রাজিলে ১৬ লক্ষের বেশি সুস্থ। ৩. ভারতে সুস্থতার সংখ্যা ৮ লক্ষ পার করেছে। ৪. রাশিয়ায় ৫ লক্ষ ৯৭ হাজারের বেশি সুস্থ।
এছাড়াও রিপোর্টে উঠে এসেছে চিলিতে তিন লক্ষের অধিক, পেরুতে ২ লক্ষের বেশি,ইরানে ২. ৫১ লক্ষ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি সুস্থ। পাকিস্তান , বাংলাদেশেও সুস্থ হয়েছেন লক্ষ লক্ষ রোগী। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা করোনা ছোঁয়ায় বিভিন্ন দেশ বিপর্যস্ত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, টিকা এবং ওষুধ নিয়ে যে সব গবেষণাগুলি চলছে তার মধ্যে কয়েকটি পরীক্ষামূলকভাবে সফল। শুরু হয়েছে সেই টিকা যত বেশি সম্ভব মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে ফলাফল আরও নিশ্চিত করা।
এদিকে করোনায় সুস্থতার হার বাড়তে থাকায় প্লাজমা থেরাপির চিকিৎসার সংখ্যাও বাড়ছে। করোনা আক্রান্ত কেউ সুস্থ হলে তার শরীরে তৈরি জীবানু প্রতিরোধকারি প্লাজমা নিয়ে অপর কোনও আক্রান্তের দেহে প্রবেশ করানো হয়। এই চিকিৎসায় সুফল পেয়েছে ভারতের কেরল রাজ্য।