করোনা ছড়িয়ে পড়ার ৩ মাস আগেই জানতেন ট্রাম্প!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব টালমাটাল। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অথচ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে করোনা প্রাদুর্ভাবের তিন মাস আগে নাকি এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
শুক্রবার সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ টোডাস ফিলিপসন।
টোডাস ট্রাম্প প্রশাসনের কাউন্সিল অব ইকনমিক অ্যাডভাইজারস-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার দাবি অনুযায়ী, ফ্লুয়ের মতো সংক্রমণ যে মহামারীর আকার নেবে, সেই বিপদ সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকে তার টিম অনেক আগেই সতর্ক করেছিল। কভিড-১৯ আঘাত হানার তিন মাস আগেই তারা সতর্ক করেছিলেন।
ফিলিপসন বলেন, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর গোটা দুনিয়া যখন নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ আঁচ করতে পারেনি, তখনই কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনেরই শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের একটি দল তাকে মহামারী (কভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
তিনি জানান, মহামারীর আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ৪১ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্টও হোয়াইট হাউসে জমা দিয়েছিলেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছিল।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কিন্তু, দুর্ভাগ্য ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনীতিবিদদের রিপোর্টটিকে অবজ্ঞা করেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও গুরুত্ব দিতে চাননি।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মহামারীতে ৫ লাখ আমেরিকান যে মারা যেতে পারেন, ৪১ পাতার ওই রিপোর্ট সেই আশঙ্কাও ব্যক্ত করা হয়েছিল। তারা আরও জানিয়েছিলেন, এই মহামারীর ধাক্কায় আমেরিকার অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩.৭৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শীর্ষ এই অর্থনীতিবিদ জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট একা নন, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এই রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত ছিলেন।
গত জুনে ফিলিপসন তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শিক্ষকতার পেশায় ফিরে গিয়েছেন। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।