ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২০ ১২:৩৮
সূত্র :

ফাহিমের নৃশংস খুনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে

অনলাইন ডেস্ক
ফাহিমের নৃশংস খুনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে

মাথা বিচ্ছিন্ন। পাশের ব্যাগে ভরা হাত-পা। তার ঠিক কয়েক হাত দূরে বৈদ্যুতিক করাত, যেটি দিয়ে নির্মমভাবে কাটা হয়েছে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক বিনিয়োগকারী ফাহিম সালেহকে।

ব্রিটেনের একাধিক গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজের বিলাসবহুল বাসায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে খুন হন ফাহিম। নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে একজন পুলিশ জানিয়েছেন, কোনো পেশাদার খুনি আগে থেকে পরিকল্পনা করে এই কাজ করেছে।

ফাহিম প্রযুক্তি জগতে নিজের পথচলা শুরু করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পাঠাওয়ের বর্তমান সিইও হুসাইন এম ইলিয়াস বুধবার সকালে দেশ রূপান্তারকে ফোনে বলেন, ‘কে বা কারা এটি করেছে তা জানতে পারিনি। আমি কয়েকটা প্রতিবেদনে দেখলাম।’

ইলিয়াস জানান ফাহিমের পরিবারের সবাই নিউইয়র্কেই থাকে, ‘ও অনেক দিন ধরে আমাদের সঙ্গে নেই। বেশ কিছুদিন অনেকটা ইন-অ্যাকটিভ ছিল। নাইজেরিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছিল।’

সিসিটিভিতে ফাহিমকে সর্বশেষ দুপুর দেড়টার দিকে দেখা যায়। ওই সময় একটি ব্যাগ হাতে সন্দেহভাজনকেও দেখা যায়। তারা লিফটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন।

ভিডিওতে দেখা গেছে, ফাহিম কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে খুনির দিকে তাকান। এরপর লিফটে দুজন একসঙ্গে উঠে যান। ফাহিম সাত-তলায় নিজের ফ্ল্যাটে ঢুকতে গেলেই তাকে আক্রমণ করে খুনি।

ফাহিমের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সে কখনো কোনো হুমকি পাওয়ার কথা জানায়নি। কোনো কিছু নিয়ে ভয়ে আছে এমন কথাও কাউকে বলেনি।

 

উপরে