যুক্তরাষ্ট্রে ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল চীন
চীনের জিনজিয়াংয়ে মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে দেশটির একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাসহ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (১৩ জুলাই) কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেইজিং সরকার। এর মধ্যে রয়েছেন দুইজন মার্কিন সিনেটরও। রয়টার্স জানায়, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর দেশটির এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রকাশ করেন। নিষেধাজ্ঞায় পড়া মার্কিন কর্মকর্তারা হলেন, দুই সিনেটর টেড ক্রুজ এবং মারকো রুবিও, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথ, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মিশনের দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক।
চীনে মার্কিন কংগ্রেসনাল এক্সিকিউটিভ কমিশনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। এই কমিশন চীনে মানবাধিকার এবং আইনি শাসনের উন্নতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেসের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠিয়ে থাকে। উইঘুর ইস্যুতে মার্কি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চীনা মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, এগুলো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর গুরুতর হস্তক্ষেপ সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতি লংঘন করে। এ ছাড়াও চীন-মার্কিন সম্পর্কে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে। উইঘুর মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কয়েকদিন আগে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক প্রধান চেন কুয়াঙ্গুকে দায়ী করে মার্কিন প্রশাসন। এই প্রথম তার মতো কোনো প্রভাবশালী চীনা ব্যক্তিত্বের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নে বেইজিং সরকারের নীতির প্রকৌশলী হিসেবে দেখা হয় তাকে। জিনজিয়াংয়ে তিন সরকারি কর্মকর্তার ওপরেও একই অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। উইঘুর মুসলিমদের ডিটেনশন সেন্টারে গণবন্দী, তাদের ওপর ধর্মীয় নিপীড়ন এবং বন্ধ্যাকরণের অভিযোগ আছে চীনের বিরুদ্ধে। যদিও চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।