নতুন ভাইরাসের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা চলছে: ডব্লিউএইচও
যুক্তরাজ্যের বাইরে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে নতুন ভাইরাস শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন থেকেই চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ঢেউয়ে করোনার রোগীর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এই প্রাদুর্ভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন ধরনের করোনার সংক্রমণ চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে দেশটি। 501v2 নামে পরিচিত এই নতুন ভাইরাসের সাধারণ করোনাভাইরাসের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে দেশটিতে নতুন ধাপে আগের চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষক জিনাল ভিমান বলেন, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন কি না আমরা তা গবেষণা করছি। একইসঙ্গে যারা প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের নমুনাও সংগ্রহ করছি আমরা। নতুন করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্তের খবর জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, নতুন ভাইরাসটি যে প্রাণঘাতী এমন কোনও প্রমাণ পায়নি সংস্থাটি। ভাইরাসের রূপান্তর স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বলেও উল্লেখ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য গবেষণা করছেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা করোনাকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আমরা যত বেশি এটিকে বিস্তারের সুযোগ দেব তত বেশি এই ভাইরাসের রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে।