করো’নায় শ্বাসকষ্টসহ পাঁচ রোগে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যে পাতা
লেবুসহ রং চা, মাংস, পোলাও ও বিরিয়ানিতে রয়েছে তেজপাতার নিত্যব্যবহার। বাংলাদেশিদের কাছে বিরিয়ানি হোক কিংবা পোলাও, তাতে অবশ্যই তেজপাতার ছোঁয়া থাকতে হবে। তেজপাতা ছাড়া রান্নার কথা চিন্তা করাই মুশকিল। শুধু রান্নায় নয়, তেজপাতা আরো নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঔষধি গুণ থাকার কারণেও তেজপাতা কদর রয়েছে বিশ্বের বহু দেশে।
করো’নাকালে তেজপাতার গুণাগুণ নিয়ে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় অধ্যাপক মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি জানান, করোনাকালে শ্বাসকষ্ট, কাশির জন্য গরম পানি ও লেবু চায়ের সঙ্গে তেজপাতা দিয়ে গরম পানি বা চা পান করলে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
১. ঠাণ্ডা-কাশিতে
ঠাণ্ডাজনিত যেকোনো রোগ, ফ্লু ও অন্যান্য সংক্রমণ রোধে লড়াই করে তেজপাতা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে পানিতে দু-তিনটি তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট গরম করুন। এই পানিতে ভেজানো একটি কাপড় বুকের ওপর রাখুন। ফ্লু, ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। জ্বর সারাতেও সহায়তা করে তেজপাতা।
২. বদহজমে
তেজপাতা হজমক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। হজমক্রিয়ায় সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলে। বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তেজপাতা দিয়ে গরম করা এক গ্লাস পানি পান করুন। স্বস্তি পাবেন।
৩. ডায়াবেটিসে
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় তেজপাতার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তেজপাতায় রক্তে শর্করা বা চিনি, কোলেস্টেরল কমাতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সহায়তা করে। সর্বোচ্চ ফল পেতে তেজপাতা গুঁড়ো করে টানা এক মাস খেতে পারেন। তেজপাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে।
৪. ব্যথা উপশমে
তেজপাতার তেল বাতের ব্যথা, মচকানো, কোনো কিছুর চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বা যেকোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথায় কপালি তেজপাতার তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
৫. হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক রোধে
তেজপাতায় এমন সব ভেষজ উপাদান আছে,যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ হৃদযন্ত্রকে রাখে নিরাপদ। বাড়ায় হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা।