ঢাকা, রবিবার, ১২ মে, ২০২৪
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২০ ০০:৫৫

হাইব্রিড মুক্ত একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাইলে...

অনলাইন ডেস্ক
হাইব্রিড মুক্ত একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাইলে...

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে আজ হাইব্রিড ও সুবিধাবাদী ভরপুর। এর জন্য কিছু মন্ত্রী, এমপি, কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা কোনভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না। আমাদের মত কিছু মানুষ রাজনীতিতে এখনও টিকে থাকার চেষ্টা করছি কিছু কেন্দ্রীয় নেতার পাশে থাকার সুযোগ অথবা স্নেহ ভালবাসার কারণে।

মুল কথা- পুলিশের আইজি হতে হলে তাকে প্রথম এএসপি হতে হয়, সেনাপ্রধান হবার জন্য সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগদান করতে হয়, সচিব হবার জন্য সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কোনও কালেক্টরেট অফিসে সংযুক্ত হতে হয়। তাহলে রাজনীতি করতে হলে প্রথমে কেন সে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগ হবে না?

আমার প্রস্তাব হলো- ১. কাউকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মিনিমাম সদস্য হতে হলে তাকে অবশ্যই দেশের যেকোনও কলেজ, হল, বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতা অথবা/পরীক্ষিত কর্মী, জেলা ছাত্রলীগের স্মার্ট ও শিক্ষিত নেতা হতে হবে।

২. যদি ছাত্রলীগ করার বয়স না থাকে অর্থাৎ পুনর্বার কমিটিতে যাওয়ার সুযোগ না থাকে, তাহলে ছাত্রলীগের অতীত পোস্টের ভিত্তিতে বা অবদান স্বরুপ তার পছন্দ অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগসহ অপরাপর সহযোগী সংগঠনে নির্ভীক, ভদ্র ও মার্জিত আচানের অধিকারী সাবেক ছাত্রনেতাদের জায়গা করে দিতে হবে।‌ (বিশেষ ক্ষেত্রে মাননীয় নেত্রী কাউকে মূল যায়গায় নেওয়া একান্ত উনার এখতিয়ার)

এরজন্য একটি মনিটরিং সেল থাকতে হবে, অবশ্যই তারা হবেন একসময়কার ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনকারী তুখোড় নেতা যেমনটি রয়েছেন- আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্তমান আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। উনারা দু'জনেই অতি বিচক্ষণতার সহিত উভয় সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে বিশেষ বিশেষ সময়ে মতবিনিময় করে সুপরামর্শ প্রদান করেন।

এমনিভাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন এখন সময়ের দাবি। যেমনটি হয়েছিল ১৯৯৪ সালে ও আমাদের সময়ে ২০০২ সালে। নির্ভেজাল একটি কমিটি মাত্র ২৪ ঘন্টায় ওবায়দুল কাদের ও বাবু সুজিত রায় নন্দী দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। হয়তো কমিটির কলেবর ছোট ও বয়স হবার কারনে অনেকেই ঠাঁই পায়নি সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

 

উপরে