অমতে বিয়ে করে মাকে আরেকবার কষ্ট দিতে চাই না: ববি
কথা চালিয়ে যান।’ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এভাবেই কথাগুলো বললেন অভিনেত্রী ববি। এমন উত্তর পাব সেটা নিজেও আন্দাজ করছিলাম। কারণ ফোনটা দেওয়াই হয়েছে দুপুরের একটু পরে। যখন মধ্যগগনে সূর্য পাড়ি দিয়ে পশ্চিমের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপর প্রান্তে দুইটি রিং বাজার পর হঠাৎ করে সময়ের বিষয়টা মাথায় এসেছিল। কিন্তু কেটে দেওয়ার আগেই সাড়া পাওয়ায় তা আর হয়ে উঠেনি। অগত্যা ববিকে খাবারের প্লেট সামনে রেখেই কথা চালিয়ে যেতে হলো। জানতে চাওয়া হলো- করোনাকাল, তা সময়টা কেমন কাটছে? ববি বললেন, ‘এই তো আছি। করোনাকালে সবাই পরিবারের সঙ্গে আছে। কিন্তু আমার পরিবারের সবাই দেশের বাইরে থাকায় একা পড়ে গেছি। এটাই শুধু অসুবিধা। ভাবতে পারিনি, করোনাকাল আমার জন্য এতটা দীর্ঘ হবে। সত্যিই এখন একা হয়ে পড়েছি...’ মুখের কথা শেষ না হতেই জানতে চাওয়া হলো তাহলে বিয়ে-শাদী করছেন না কেন? আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে এ খবর শুনতে? ফোনের অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল ববির অট্টহাসির ইকো। হা. হা.. হা... বললেন, ‘ভালোই বলেছেন। তাহলে পাত্র দেখা শুরু করেন।’ এবার জানতে চাওয়া হলো বলেন কী? এখনো কেউ মন কাড়তে পারেনি আপনার? এবার দুষ্টুমির ছলে বললেন, ‘ওই যে বললাম পাত্র দেখেন। মনে হচ্ছে করোনার আগে মায়ের কথা রাখলেই ভালো হতো। তখন বিয়ের জন্য খুব পীড়াপীড়ি করেছিলেন। তবে এটাও ঠিক, মায়ের সিদ্ধান্ত এবং পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করবো। মায়ের অমতে বিয়ে করতে পারবো না। কারণ এমনিতেই তাদের সঙ্গে অনেক লড়াই করে এ ক্যারিয়ারে পা দিয়েছি। আমার মা এ ক্যারিয়ার পছন্দ করেন না। তাই অমতে বিয়ে করে মাকে আরেকবার কষ্ট দিতে চাই না।’
ববিকে থামিয়ে বলা হলো, অনেক হলো বিয়ে শাদী। এবার একটু ফিল্মপাড়ায় আসেন। নতুন কাজকর্মের কী খবর? জানালেন, ৩/৪টি ছবি ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা হয়েছে তারা। কিন্তু তিনি শুটিং শুরু করার সাহস পাচ্ছেন না। আগামী জানুয়ারি থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করতে চান ববি।
তা এই ভয়ের কারণে কী? এবার ববি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে গলায় সংক্রমণ হয়েছিল। এ জন্য আমার মা খুব ভয়ে আছে। বার বার বলছে, 'তুমি এখনই কাজ শুরু করো না।' এদিকে বছর তো শেষই হয়ে গেল। আশা করি, এর মধ্যেই করোনার টিকা বাজারে চলে আসবে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই কাজ শুরু করবো।’ যেহেতু ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গ চলেই এলো তাই এ বিষয়েও জানতে চাওয়া হলো ববির কাছে। বললাম এখানকার দর্শক পুরোপুরি মানতে পারেনি ওয়েব সিরিজকে। কেউ কেউ তো এখনো নাক সিঁটকায় বা আড় চোখে দেখে ওয়েব সিরিজকে। এবার আমি নয় উল্টো আমাকে থামিয়ে ববি বললেন, ‘বিশ্বজুড়ে বড় বড় ছবি, সিরিজ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে। সময়ের সাথে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে। যখন নেটফ্লিক্স আসছিল কেউ ভাবতেই পারেনি এত বড় বড় বাজেটের ছবি নেটফ্লিক্সে আসবে। করোনা মহামারীর কারণে বলিউডের বড় বড় বাজেটের ছবিগুলোও নেটফ্লিক্সে আসছে। যুগ যেভাবে পরিবর্তিত হবে আমাদের সেভাবেই মানিয়ে নিতে হবে। শিল্পের সব ক্ষেত্রকে সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে। আমি এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। তবে বাংলাদেশে ওয়েবের জন্য যা কিছুই নির্মিত হোক তা যেন মানসম্পন্ন হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আর কথা উঠবে কেন?’ এভাবেই ববি বলতে লাগলেন। এই আলাপন হয়তো আরও দীর্ঘ হতে পারতো। কিন্তু মনে পড়লো, আরে ববি তো খাবারের প্লেট সামনে রেখে কথাগুলো বলছেন। হয়তো তার পেটে ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেছে। তাকেও আর উপোষ রাখা ঠিক হবে না। তাই বললাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। করোনা থেকে দূরে থাকুন। কথা চালিয়ে যান।’ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এভাবেই কথাগুলো বললেন অভিনেত্রী ববি। এমন উত্তর পাব সেটা নিজেও আন্দাজ করছিলাম। কারণ ফোনটা দেওয়াই হয়েছে দুপুরের একটু পরে। যখন মধ্যগগনে সূর্য পাড়ি দিয়ে পশ্চিমের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপর প্রান্তে দুইটি রিং বাজার পর হঠাৎ করে সময়ের বিষয়টা মাথায় এসেছিল। কিন্তু কেটে দেওয়ার আগেই সাড়া পাওয়ায় তা আর হয়ে উঠেনি। অগত্যা ববিকে খাবারের প্লেট সামনে রেখেই কথা চালিয়ে যেতে হলো। জানতে চাওয়া হলো- করোনাকাল, তা সময়টা কেমন কাটছে? ববি বললেন, ‘এই তো আছি। করোনাকালে সবাই পরিবারের সঙ্গে আছে। কিন্তু আমার পরিবারের সবাই দেশের বাইরে থাকায় একা পড়ে গেছি। এটাই শুধু অসুবিধা। ভাবতে পারিনি, করোনাকাল আমার জন্য এতটা দীর্ঘ হবে। সত্যিই এখন একা হয়ে পড়েছি...’ মুখের কথা শেষ না হতেই জানতে চাওয়া হলো তাহলে বিয়ে-শাদী করছেন না কেন? আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে এ খবর শুনতে? ফোনের অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল ববির অট্টহাসির ইকো। হা. হা.. হা... বললেন, ‘ভালোই বলেছেন। তাহলে পাত্র দেখা শুরু করেন।’ এবার জানতে চাওয়া হলো বলেন কী? এখনো কেউ মন কাড়তে পারেনি আপনার? এবার দুষ্টুমির ছলে বললেন, ‘ওই যে বললাম পাত্র দেখেন। মনে হচ্ছে করোনার আগে মায়ের কথা রাখলেই ভালো হতো। তখন বিয়ের জন্য খুব পীড়াপীড়ি করেছিলেন। তবে এটাও ঠিক, মায়ের সিদ্ধান্ত এবং পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করবো। মায়ের অমতে বিয়ে করতে পারবো না। কারণ এমনিতেই তাদের সঙ্গে অনেক লড়াই করে এ ক্যারিয়ারে পা দিয়েছি। আমার মা এ ক্যারিয়ার পছন্দ করেন না। তাই অমতে বিয়ে করে মাকে আরেকবার কষ্ট দিতে চাই না।’
ববিকে থামিয়ে বলা হলো, অনেক হলো বিয়ে শাদী। এবার একটু ফিল্মপাড়ায় আসেন। নতুন কাজকর্মের কী খবর? জানালেন, ৩/৪টি ছবি ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা হয়েছে তারা। কিন্তু তিনি শুটিং শুরু করার সাহস পাচ্ছেন না। আগামী জানুয়ারি থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করতে চান ববি।
তা এই ভয়ের কারণে কী? এবার ববি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে গলায় সংক্রমণ হয়েছিল। এ জন্য আমার মা খুব ভয়ে আছে। বার বার বলছে, 'তুমি এখনই কাজ শুরু করো না।' এদিকে বছর তো শেষই হয়ে গেল। আশা করি, এর মধ্যেই করোনার টিকা বাজারে চলে আসবে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই কাজ শুরু করবো।’ যেহেতু ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গ চলেই এলো তাই এ বিষয়েও জানতে চাওয়া হলো ববির কাছে। বললাম এখানকার দর্শক পুরোপুরি মানতে পারেনি ওয়েব সিরিজকে। কেউ কেউ তো এখনো নাক সিঁটকায় বা আড় চোখে দেখে ওয়েব সিরিজকে। এবার আমি নয় উল্টো আমাকে থামিয়ে ববি বললেন, ‘বিশ্বজুড়ে বড় বড় ছবি, সিরিজ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে। সময়ের সাথে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে। যখন নেটফ্লিক্স আসছিল কেউ ভাবতেই পারেনি এত বড় বড় বাজেটের ছবি নেটফ্লিক্সে আসবে। করোনা মহামারীর কারণে বলিউডের বড় বড় বাজেটের ছবিগুলোও নেটফ্লিক্সে আসছে। যুগ যেভাবে পরিবর্তিত হবে আমাদের সেভাবেই মানিয়ে নিতে হবে। শিল্পের সব ক্ষেত্রকে সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে। আমি এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। তবে বাংলাদেশে ওয়েবের জন্য যা কিছুই নির্মিত হোক তা যেন মানসম্পন্ন হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আর কথা উঠবে কেন?’ এভাবেই ববি বলতে লাগলেন। এই আলাপন হয়তো আরও দীর্ঘ হতে পারতো। কিন্তু মনে পড়লো, আরে ববি তো খাবারের প্লেট সামনে রেখে কথাগুলো বলছেন। হয়তো তার পেটে ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেছে। তাকেও আর উপোষ রাখা ঠিক হবে না। তাই বললাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। করোনা থেকে দূরে থাকুন।