একজন মা এবং তার দুষ্ট সন্তান
শিরোনাম দেখে ভক্তরা ভাবছেন এ কেমন কোথা, সাংবাদিকেরা এসব কী লেখে, এমন কোথা কেন লেখে? খুব স্বাভাবিক এইসব প্রশ্ন কিংবা মনে আসা ভাবনা। তবে শিরোনাম দেখেই সিদ্ধান্তে যাওয়া যায় না যেমন তেমনই প্রচ্ছদ দেখে কোনো বইকে বিবেচনা করা উচিৎ নয়। সংবাদের শিরোনামটা হাবিবেরই দেওয়া।
জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই স্রষ্টা মঙ্গলবার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি। আর সে ছবিতেই ক্যাপশন জুড়ে দিয়েছেন 'একজন মা এবং তার দুষ্ট সন্তান।' ছবির ক্যাপশন মজা করে দিলেও হাবিবের ভক্তরা খুব ইতিবাচকভাবে ছবিটিকে নিয়েছেন। তাঁর মা'কে সম্মান জান্নাচ্ছেন। এমন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মায়ের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন।
কণ্ঠশিল্পী লুৎফর হাসান লিখেছেন, 'রত্নগর্ভা মা, এমন দুষ্টু সন্তান তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন, আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। উনাকে সালাম। শ্রদ্ধা।'
অর্থাৎ এই দুষ্ট সন্তান দাবিদারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সকল শ্রেণীর লোকজন মিষতি সন্তান হিসেবেই গ্রহণ করেছেন।
হাবিব ওয়াহিদ বাংলা লোকগীতির ফিউশনের সাথে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ের জন্যে সমধিক পরিচিত। স্বল্প পরিচিত লোকগীতিকে আরো ভাল সুর দিয়ে, রিমিক্স করে সাধারণ শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য করে তুলছেন তিনি। তিনি মূলত হাসন রাজা, শাহ আবদুল করিম, আমির উদ্দীন প্রমূখ মরমী সঙ্গীত শিল্পীদের গানকে কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। এ কারণে অনেকের কাছেই তিনি যেমন সমালোচিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাত হয়েছেন।
হাবিব ওয়াহিদ বিভিন্ন শিল্পীর সাথে অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ন্যান্সি কে সাথে নিয়েই উপহার দিয়েছেন বেশির ভাগ গান । হাবিব ওয়াহিদ সদ্য সুপারস্টার দেব অভিনীত ভারতীয় বাংলা সিনেমা বিন্দাস এ র গান গেয়েছেন। তার সহশিল্পী ছিলেন তুলসী কুমার।
হাবিবের প্রথম লোকসঙ্গীতের রিমিক্স অ্যালবাম কৃষ্ণ। লন্ডনে ছাত্রাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে এটি প্রকাশিত হয়। এ অ্যালবামের কনসেপ্ট ও সুর অনেক পূর্বেই তৈরি করেছিলেন এবং শুধু একজন গায়কের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে জানা যায়। লন্ডনে একজন সিলেটি রেস্তোঁরার মালিক কায়া ছিলেন একজন অপরিণত গায়ক, যার মতো কণ্ঠই হাবিবের দরকার ছিল। তাদের মিলিত গানগুলো লন্ডনে প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
যখন এই অ্যালবাম কৃষ্ণ শিরোনামে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে মুক্তি পায় তখন সেটি অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এতে ছিল পুরোনো স্বাদের লোকসঙ্গীত এবং পাশ্চাত্যের ইলেকট্রনিকা এর মিশ্রণ যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রচলিত হয়।