ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২০ ২০:৪৫

৮০০ কোটি টাকায় রাজপ্রাসাদ কেনার রহস্য ফাঁস করলেন সাইফ

অনলাইন ডেস্ক
৮০০ কোটি টাকায় রাজপ্রাসাদ কেনার রহস্য ফাঁস করলেন সাইফ

গুঞ্জন উঠেছিল, ৮০০ কোটি টাকার বিনিময়ে নাকি একটি হোটেল সংস্থার কাছ থেকে পাতৌদির রাজপ্রাসাদ উদ্ধার করেছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন বলিউডের নবাব। – খবর সংবাদ প্রতিদিন।

তিনি বলেন, এই খবর সঠিক নয়। রাজমহলের যা দাম প্রকাশ্যে এসেছে, তাও সঠিক নয়। পতৌদির রাজপ্রাসাদ তাঁর কাছে অমূল্য সম্পত্তি। এবং তিনি যেহেতু ইতিমধ্যেই রাজপ্রাসাদটির মালিক, তাই প্রাসাদের মালিকানা বদলের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।

প্রসঙ্গত, নিমরানা হোটেল চেনের অন্তর্ভুক্ত পতৌদি প্যালেস। সেই সংস্থার সঙ্গে পতৌদি পরিবারের আলাদা আর্থিক চুক্তি আছে বলেই জানিয়েছেন সাইফ। দিনকয়েক আগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী করিনা কাপুর এবং ছেলে তৈমুর আলি খানকে নিয়ে পতৌদি থেকে মুম্বই ফিরেছেন সাইফ।

সাইফ বলেছেন, “এই মহলের আর্থিক মূল্য ধার্য করা অসম্ভব। কারণ আবেগের দিক থেকে এই সম্পত্তি অমূল্য। আমার ঠাকুমা-ঠাকুর্দা আর আমার বাবা সেখানে সমাধিস্থ। জায়গাটার সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক যোগ রয়েছে। পতৌদি প্যালেসে আমি শান্তি পাই, নিরাপদ বোধ করি।”   তিনি বলেন, “ওই জমির বয়স কয়েকশ বছর। তবে ঠাকুমার জন্য রাজমহলটা আমার ঠাকুর্দা তৈরি করেছিলেন প্রায় একশ বছর আগে। তারপর সময় বদলে যায়। তাই আমার বাবা রাজমহলটা লিজ করেছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, পিতা মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরে রাজমহল ফিরে পাওয়ার ইচ্ছা জাগে তাঁর মনে। “তাই যখন সুযোগ এল, লিজের বকেয়া টাকা শোধ করে প্যালেসের মালিকানা নিয়ে নিলাম। ন্যায্য আর্থিক চুক্তিই হয়েছে। আর যেহেতু আমি বরাবরই রাজমহলের মালিক ছিলাম, নতুন করে সেটার হাতবদলের প্রশ্ন ছিল না।”

হরিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় অবস্থিত পতৌদির প্রাসাদটি। স্থানীয়দের কাছে ইব্রাহিম কোঠি বলেও পরিচিত। ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত প্রাসাদটিতে রয়েছে ১৫০টি কক্ষ। সাইফের ঠাকুর্দা ইফতিকার আলি খান ছিলেন পতৌদির শেষ নবাব। এই প্রাসাদে শ্যুটিং হয়েছে জুলিয়া রবার্টসের বিখ্যাত হলিউড ছবি ‘ইট প্রে লাভ’, ‘মঙ্গল পাণ্ডে’, ‘বীর জারা’, ‘গান্ধী: মাই ফাদার’ এবং ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহন’-এর মতো হলিউড-বলিউড ছবির।

উপরে