ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৮:০২

অভিনেতা সাদেক বাচ্চু লাইফ সাপোর্টে

অনলাইন ডেস্ক
অভিনেতা সাদেক বাচ্চু লাইফ সাপোর্টে

করোনায় আক্রান্ত অভিনেতা সাদেক বাচ্চুকে লাইফ সাপোর্ট নেয়া হয়েছে।  শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

রাত ১১টায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাদেক বাচ্চুর হৃদযন্ত্র ৮০ শতাংশ কাজ করছে না। এ কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয়েছে।

এর আগে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ০৮ সেপ্টেম্বর রাতে সাদেক বাচ্চুকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তাকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালটির আইসিইউতে বর্তমানে তিনি ভর্তি আছেন।

তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, গত রোববার সন্ধ্যা থেকেই অস্বস্তি লাগছিল তার। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় রাতে সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ আসে।

সাদেক বাচ্চুর আসল নাম মাহবুব আহমেদ সাদেক। চাঁদপুরে দেশের বাড়ি হলেও জন্ম ঢাকায়। সিনেমার কিংবদন্তী মানুষ এহতেশাম ‌‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রে তার নাম বদলে সাদেক বাচ্চু করে দেন। সেই থেকেই তিনি এ নামে পরিচিত। টিএন্ডটি নাইট কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন সাদেক বাচ্চু।

১৯৬৩ সালে খেলাঘরের মাধ্যমে রেডিওতে অভিনয় শুরু করেন সাদেক বাচ্চু। একইসঙ্গে মঞ্চেও বিচরণ করেন। প্রথম থিয়েটার ‘গণনাট্য পরিষদ।’ ১৯৭২-৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যখন এদেশের সাংস্কৃতিক বলয় নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছিল, তখন যোগ দেন গ্রুপ থিয়েটারের সঙ্গে। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ১৯৭৪ সালে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিষিক্ত হন।‘রামের সুমতি’র মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

সাদেক বাচ্চুর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, জোর করে ভালোবাসা হয় না (২০১৩), জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার (২০১৩), জীবন নদীর তীরে (২০১৩), তোমার মাঝে আমি (২০১৩), ঢাকা টু বোম্বে (২০১৩), ভালোবাসা জিন্দাবাদ (২০১৩), এক জবান (২০১০), আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), বধূবরণ (২০০৮), ময়দান (২০০৭), আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), প্রিয়জন (১৯৯৬), সুজন সখি (১৯৯৪)।

উপরে