চলচ্চিত্র খাত পাচ্ছে ৭০০ কোটি টাকা
করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক খাত প্রণোদনা পেলেও চলচ্চিত্র ছিল এর বাইরে। এর ওপর গত কয়েক বছরে এই অঙ্গনের ব্যবসায়িক অবস্থা একদম তলানিতে ঠেকেছে। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন।
অবশেষে তারা সফল হতে যাচ্ছেন। সরকারের তরফ থেকে চলচ্চিত্রের জন্য ৭০০ কোটি টাকার তহবিল দেওয়া হচ্ছে।
এ খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির একাধিক নেতা। তারা জানান, বরাদ্দকৃত অর্থের বেশির ভাগই দেওয়া সিনেমা হল সংস্কারের জন্য।
প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, “আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে তাকিয়েছেন। আশা করছি খুব শিগগিরই এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। এতে চলচ্চিত্র শিল্প নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
সঙ্গে যোগ করেন, “এটি সরাসরি কোন ব্যাংকের টাকা না। তহবিলের টাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংকে রাখা হবে। আমার জানামতে ১ থেকে ২ শতাংশ সুদে এখান থেকে আগ্রহীরা ঋণ নিতে পারবেন। পরিশোধের মেয়াদ হবে ২০ থেকে ২৫ বছর।”
তবে এ টাকার বহুমাত্রিক ব্যবহারের দাবি করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। তারা চান হল সংস্কারের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হোক।
পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, “আমাদের দাবি থাকবে এখান থেকে যেন ১০০ কোটি টাকা চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। যাতে করে ভালো প্রযোজকেরা ছবি বানাতে পারেন এবং হলে যেন ভালো বাংলা ছবির অভাব না হয়।”
এ দিকে ১৫ সেপ্টেম্বর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট নেতাদের মিটিং হবে। সেখানে সিনেমা হল খুলে দেওয়া ও ঋণের ব্যাপারে বিস্তারিত দিক-নির্দেশনা আসবে।
চলতি বছর ঢালিউডে বেশ কিছু আলোচিত সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। ধারণা করা হয়েছিল, দেশের চলচ্চিত্রের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হতে যাচ্ছে ২০২০ সাল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সিনেমা হল। অন্যান্য কাজ বন্ধ থাকলেও হালে শুরু হয়েছে কয়েকটি সিনেমার শুটিং।