কুকুরদের জন্য উদ্যোগে একাত্ম জয়া
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৩০ হাজার কুকুর রাজধানী থেকে স্থানান্তর করতে যাচ্ছে। এমন সিদ্ধান্তে প্রাণী অধিকারকর্মীদের সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি বিষয়টি নিয়ে আয়োজিত এক উদ্যোগের প্রচারও করলেন নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।
সেখানে লেখা হয়, প্রায়শই আমরা শুনতে পাই পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন কুকুরের মতো প্রাচীন বন্ধুকে নিধন অথবা স্থানান্তর করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। যদিও রাষ্ট্র আইন করে তা নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের সবচেয়ে কাছের প্রাচীনতম এই বন্ধুটির ওপর চরম নির্দয়তার প্রকাশ আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। এই অসংবেদনশীলতা দূর হোক।
পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (PAW Foundation) উদ্যোগে আগামী ২৮ ও ২৯ আগস্ট সড়ক ১০–এ সাত মসজিদ রোডে দেয়ালচিত্রে পথকুকুরদের ছবি আঁকবেন শিল্পী ও পরিবেশবিদরা।” আরও বলা হচ্ছে, ছবিতে দেখানো হবে প্রকৃতিতে মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণীর ভূমিকা। তাদের সংগ্রাম, বেঁচে থাকা ইত্যাদি। দেয়ালচিত্রে ফুটে উঠবে সেই গল্প।এই উদ্যোগের সঙ্গে আমি নিজে আন্তরিক একাত্মতা জানাচ্ছি। একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য ২৯ আগস্ট শনিবার বিকেল ৪টায় আমি সেখানে যাব। প্রাণীপ্রেমিক শিল্পীসমাজের আরও গুণী মানুষেরাও সেখানে আসবেন।”
সবশেষে অভিনেত্রী বলেন, আপনারাও আসুন। একটি প্রাণবিক ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে এই আয়োজনে ঢাকার সকল সচেতন নাগরিক, পরিবেশবাদী এবং প্রাণিঅধিকার কর্মীদের যুক্ত হতে আহ্বান জানাবো। প্রাণীদের জন্য আমরা সবাই মিলে একটি মমতার পরিসর গড়ে তুলি।পশুপ্রেমী হিসেবে জয়ার বেশ খ্যাতি রয়েছে। নানা সময়ের শহরের পথকুকুরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। করোনাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খাবারও দিয়েছেন।
সম্প্রতি কলকাতার সংগীতকার তথা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেপরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর একটি ছবিতে জয়া আহসানের যুক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।ছবিটির নাম ‘অসতো মা সদগময়’। ইন্দ্রদীপের ভাবনাতেই করোনা পরিস্থিতি ফ্রেমে তুলে ধরবেন জয়া আহসান ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে দুই তারকা ‘রবিবার’ নামের একটি ছবি করেন।
মানবজীবন কীভাবে করোনা আবহের কঠিন সময়ের সঙ্গে যুঝে চলেছে, সেই গল্পই ইন্দ্রদীপের হাত ধরে ফুটে উঠবে পর্দায়। জয়া-প্রসেনজিতের সঙ্গে আরও অভিনয় করবেন রুদ্রনীল ঘোষ ও অরুণ মুখোপাধ্যায়।জয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে কলকাতার ‘রবিবার’ ছবিতে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে অর্ধাঙ্গিনী, বিনি সুতোয়, ভূতপরী ও ঢাকার ‘অলাতচক্র’।