জীবনানন্দের প্রেমে পড়েছেন মিথিলা
কবিতাপ্রেমী বাঙালিদের মধ্যে খুব কমই পাওয়া যাবে— যার পছন্দের তালিকায় জীবনানন্দ দাশের কবিতা নেই। রাশিয়াত রশীদ মিথিলারও পছন্দ ‘রূপসী বাংলা’র কবি। ফেসবুকে নিজের ছবির সঙ্গে পরপর জীবনানন্দের কবিতা উদ্ধৃত করে যাচ্ছেন কয়েক দিন ধরে। এ কাণ্ড যেহেতু মিথিলায়, বুঝতেই পারছেন ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
সোমবার সকাল ৭টা ৮মিনিটে শাড়ি পরা একটি ছবি আপলোড দিয়ে ক্যাপশন দেন জীবানন্দের ‘বনলতা সেন’ কবিতার দুটি চরণ। তা হলো- ‘‘সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন//থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।’’
জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ছবিতে অসংখ্য মন্তব্য পড়েছে। অনেকেই তার প্রশংসা করছেন, শুভেচ্ছাও জানাচ্ছেন। আবার অযাচিত আক্রমণেরও শিকার হতে হচ্ছে। এটা সবার জানা যে, সাইবার বুলিং-এর পরোয়া করেন না মিথিলা। নিজেকে ইচ্ছামাফিক প্রকাশে তার কোনো কুণ্ঠা নেই।
গত বছর ৬ ডিসেম্বর কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন মিথিলা। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা সেরে মেয়ে আইরাকে নিয়ে ঢাকায় ছিলেন মিথিলা। বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবনেও ভালো সময় কাটাচ্ছেন মিথিলা। করোনা পরিস্থিতিতে চার মাসের বেশি সময় স্বামী সৃজিত মুখার্জি থেকে দূরে ছিলেন। দুজন ছিলেন দুই দেশের দুই শহরে ঢাকা-কলকাতায়।
গত ১৪ আগস্ট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সড়ক পথে ভারতে যান মিথিলা ও মেয়ে আইরা। তাদের নিতে সীমান্তের ওপারে আসেন সৃজিত। জনপ্রিয় নির্মাতা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একে ঘৃণার বিপরীতে ভালোবাসার জয় বলে উল্লেখ করেন। সৃজিতের বাড়িতে গিয়ে মিথিলা অনেকটা অবাকই হয়েছেন বলে জানান তিনি। মিথিলা বলেন, কয়েকমাস আগেও বাড়ির নেমপ্লেটে লেখা ছিল সৃজিত মুখার্জি। আর এখন সেই বাড়ির নেমপ্লেটে লেখা- সৃজিত মুখার্জি, রাফিয়াত রশিদ, আইরা তেহরীম খানের নাম। এটা তার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ বলে উল্লেখ করেন মিথিলা। বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন মিথিলা। আইরাকে সেখানকার একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ ঈদুল আজহায় বেশ কয়েকটি নাটকে দেখা গেছে মিথিলাকে। আর লকডাউনে নিজের বাড়িতে থেকে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন।