ঘর থেকেই বের হন না পূর্ণিমা
গত চার মাস থেকে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। করোনা ভাইরাসের কারণে আপাতত মিডিয়ায় কোনো কাজ করছেন না তিনি। ঈদেও কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি এই চিত্রনায়িকাকে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ শুরু করে দিলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সহসা ফেরা হচ্ছে না পূর্ণিমার।
তিনি বলেন, অনেকে করছেন এটি তাদের বিষয়। তারা নিশ্চয়ই নিজেদের সুরক্ষিত রেখে কাজ করছেন। তাছাড়া অন্যরা কাজ শুরু করেছেন বলে যে আমাকেও কাজ শুরু করতে হবে তা তো বাধ্যতামূলক নয়। আমার হাতে দুটি ছবির কাজ রয়েছে।
ছবির পরিচালককে জানিয়ে দিয়েছি খুব তাড়াতাড়ি শুটিংয়ে অংশ নিতে পারব না। বেঁচে থাকলে অনেক কাজ করা যাবে। এখন নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদে রাখাই জরুরি। অন্য বছর ঈদ বেশ দারুণভাবে কাটালেও এবার একেবারে ভিন্ন আয়োজনে কেটেছে পূর্ণিমার। ঘর থেকে বের হননি এই নায়িকা। বাড়িতেই অবস্থান করেছেন।
পূর্ণিমা বলেন, একেবারেই ভিন্ন রকম ঈদ গেলো। বাড়ির বাইরে যাওয়া হয়নি বহুদিন। যেদিন থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছিল তারপর আমি কোথাও যাইনি। অনেকের কাছে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হবে। কিন্তু এটাই সত্যি। জানি না কতদিন এভাবে চলতে হবে। ঈদ এলে টিভিপর্দায়ও বেশ সরব থাকেন পূর্ণিমা। নাটক কিংবা কোনো সেলিব্রেটি শোতে হরহামেশাই দেখা মেলে তার। কিন্তু এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটলো। পূর্ণিমা বলেন, করোনার কারণে অনেক কিছুই করা হয়নি। আমি ঘর থেকেই বের হইনি। আপাতত ঘরে থাকাটাই শ্রেয় মনে করছি। তাই কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বা শুটিং করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে কিছু লাইভ অনুষ্ঠান করেছি, সেটিও ঘরে বসে অনলাইনে। ‘শত্রু ঘায়েল’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করলেও জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মধ্য দিয়ে নায়িকা পূর্ণিমার যাত্রা শুরু হয়।
১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। এরপর ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘শাস্তি’, ‘শুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’সহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন পূর্ণিমা। কাজি হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবির জন্য ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান তিনি।