ঈদের আনন্দভ্রমণে অনন্ত ও বর্ষা
প্রতি বছর ঈদের পর দেশের বাইরে ঈদের ছুটি কাটাতে যান তারকা দম্পতি অনন্ত ও বর্ষা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে সাধারণ ফ্লাইট বন্ধ থাকায় এবার আর বিদেশ গিয়ে ছুটি উদযাপন সম্ভব হয়নি।
তবে ঈদের এ সময়টায় ঘরবন্দিও থাকেননি তারা। দুই সন্তান আরিজ ও আবরারকে নিয়ে ঈদের পরদিনই সিলেট গিয়েছেন। এরই মধ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন বাহুবল, টি-গার্ডেন, টি-ফ্যাক্টরিসহ আরও অনেক জায়গায়। টি-ফ্যাক্টরিতে গিয়ে ছেলেদের দেখিয়েছেন কীভাবে পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হয়।
ঈদের ছুটি উদযাপন প্রসঙ্গে অনন্ত বলেন, প্রতি বছরই দেশের বাইরে ঈদের দিন কিংবা তার পরদিনই বেড়াতে যাই। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে তো যাই-ই। এ বছরও সেই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিশ্বজুড়ে গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ফ্লাইট বন্ধ। রোজার ঈদেও কোথাও যেতে পারিনি। তখন দেশের ভেতরেও কোথাও যেতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। রাষ্ট্রীয় নির্দেশ মেনে রোজার ঈদে ঘর থেকে বের হইনি। কোরবানি ঈদের আগেই সরকার সবকিছু সীমিত আকারে চালু করেছে। বাচ্চারাও ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে তাদের নিয়ে বের হয়েছি। সিলেট এসেছি, এখানে দৃষ্টিনন্দন স্থানগুলো বাচ্চাদের দেখাচ্ছি। তারাও আনন্দ পাচ্ছে। ফ্লাইট চালু হলে দেশের বাইরেও তাদের নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
বর্ষা বলেন, বেশিরভাগ সময়ই বিদেশে বেড়াতে গিয়েছি। কিন্তু নিজের দেশের সৌন্দর্য সেভাবে দেখা হয়নি। করোনা এবার বোধহয় সেই সুযোগ করে দিয়েছি। নিয়মিত ফ্লাইট চালু থাকলে হয়তো এবারও বিদেশেই ঈদের ছুটি কাটাতাম, তবে তা আর হয়নি। সিলেটে এসে বেশ ভালো লাগছে। বাচ্চাদের নিয়ে চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছি। ওরাও খুব আনন্দ পাচ্ছে। সময় পেলে দেশের আরও নান্দনিক কিছু জায়গায় বেড়ানোর ইচ্ছে আছে।
বেড়ানো শেষে বুধবার ঢাকায় ফিরবেন অনন্ত ও বর্ষা। এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে তাদের নতুন ছবি দিন : দ্য ডে’র কাজও অসমাপ্ত অবস্থায় আছে। এরই মধ্যে ছবিটির ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমলে পুনরায় এ ছবির কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন অনন্ত।
ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য এ ছবিটি পরিচালনা করছেন ইরানি পরিচালক মোস্তফা অতাশ জমজম।। ছবিতে অনন্ত-বর্ষা ছাড়াও অভিনয় করছেন ইরান, লেবানন ও আমেরিকান কয়েকজন অভিনয় শিল্পী।