ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০২০ ১৭:৩৯

করোনা আক্রান্ত পপি, শ্বাসকষ্ট বেড়েছে কিছুটা; দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন

অনলাইন ডেস্ক
করোনা আক্রান্ত পপি, শ্বাসকষ্ট বেড়েছে কিছুটা; দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন

করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের হাত থেকে রেহাই পেলেন না চিত্রনায়িকা পপি। মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকেই খুলনা বাসাতেই অবস্থান করছিলেন এই চিত্রনায়িকা। শ্বাসকষ্ট কিছুটা বেড়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চিত্রনায়িকা পপির। জ্বর ও কাশি দুটোই আছে। শরীর খুব দুর্বল তার। শনিবার (২৫ জুলাই) বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতির কথা তিনি নিজেরই নিজেই জানিয়েছেন। তবে অবস্থা গুরুতর নয় বলেও জানিয়েছেন পপি। করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এই জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা। শুক্রবার (২৪ জুলাই) নিজের করোনা আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করে পপি জানিয়েছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলাম। তিন দিন আগে করোনা টেস্ট করালে বৃহস্পতিবার আমার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অসুস্থ বোধ করার পর থেকেই খুলনার নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছি।

শনিবার শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলে পপি বলেন, এ মুহূর্তে খুব বেশি কথা বলতে পারছি না। গলা ব্যথা আগের চেয়ে বেড়েছে। জ্বর কিছুক্ষণ পর পর আসে। শরীরও বেশ দূর্বল। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। সুস্থ হয়ে যাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। পপির করোনা আক্রান্তের বিষয়টি গুজব বলে একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।   এ কথা তাকে জানানো হলে পপি বলেন, হ্যা, কেউ কেউ আমার অসুস্থতা নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। আমি করোনা পজিটিভ। এটা কোনো গুজব নয়। আবার বাবার বরাত দিয়ে যে মন্তব্য প্রকাশ হয়েছে সেটা পরীক্ষা করার আগের।

কীভাবে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন? এমন প্রশ্নে পপি বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর থেকে বেশ সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করছিলাম। তবে কিছুদিন ধরে রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছিন্নমূল অসহায় মানুষের জন্য খাবার বিতরণ করেছি। এসব ত্রাণ দিতে গিয়েই হয়তো আমি আক্রান্ত হয়েছি। কারণ, এর জন্য আমাকে বেশ কয়েকবার রাস্তায় বের হতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ঢাকা থেকে খুলনায় পৈতৃক বাড়িতে চলে যান পপি। প্রায় তিন মাস ধরে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। প্রথম দিকে পরিবারের সহযোগিতায় পপি নিজেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্বল্প আয়ের মানুষকে সহায়তা দিয়েছেন। প্রায় দেড় মাস ধরে এই সহযোগিতার কাজ অব্যাহত রাখেন তিনি। পরে করোনোর প্রকোপ বেড়ে গেলে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।

 

উপরে