ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২০ ১২:৫২

রিজেন্ট সাহেদের সঙ্গে সাবেক স্ত্রীকে জড়িয়ে সংবাদ: মামলা করবেন অপূর্ব

অনলাইন ডেস্ক
রিজেন্ট সাহেদের সঙ্গে সাবেক স্ত্রীকে জড়িয়ে সংবাদ: মামলা করবেন অপূর্ব

সম্প্রতি অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর সঙ্গে নাজিয়া হাসান অদিতির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের কারণ না জানালেও আলাদা আলাদা ঘোষণায় পরস্পরের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেন তারা। পাশাপাশি জানান, বন্ধুত্ব বজায় রাখবেন।

এবার নাজিয়ার বিরুদ্ধে ‘অপ্রীতিকর’ খবর প্রকাশের পর পাশে দাঁড়ালেন অপূর্ব। সম্প্রতি আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের সঙ্গে জড়িয়ে নাজিয়াকে নিয়ে কিছু খবর প্রকাশ হয়। এ নিয়ে অপুর্ব বলছেন, সাবেক স্ত্রীর প্রতি কখনোই এ ধরনের অভিযোগ ছিল না। অথচ এখন তার বিরুদ্ধে কিছু অনলাইন বাজে খবর ছড়াচ্ছে।

অপূর্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, “কোনো ধরনের ভনিতা না রেখেই বলছি, গত দুইদিন থেকে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ভুঁইফোড় ধরনের অনলাইন পত্রিকা কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আমার সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি এবং আমার বিচ্ছেদের ব্যাপারে অত্যন্ত কুরুচিপুর্ণ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। যা আমার এবং অদিতির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। আমি আগেও বলেছিলাম অদিতির সাথে আমি এখন সাংসারিক জীবনে না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং অদিতির সম্মান নিয়ে বা অদিতির নামের সাথে জড়িয়ে তৃতীয় কারো নাম নিয়ে যে বা যারা কোনো ধরনের কোনো নোংরা খেলায় মাতবে এদের কাউকেই আমি ছেড়ে কথা বলব না।”

আরও বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দেশের একজন দূর্নীতিবাজের সাথে আয়াশের মাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা এবং কাল্পনিক ঘটনা প্রচার করার জন্য আমি এই দেশের একজন সুনাগরিক হিসাবে এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। শুধু প্রতিবাদই না আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা নিয়ে এই ধরনের নোংরা মিথ্যাচার ছড়ানোর দায়ে আমি এই সকল পত্রিকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি যা আজ-কালের ভেতরে সম্পন্ন হবে।”

তিনি বলেন, “আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই অদিতি আমার স্ত্রী ছিল এবং এখন সে আমার সন্তানের মা। আমার নয় বছরের সাংসারিক জীবনে অদিতিকে নিয়ে আমার কোনো ধরনের কোন অভিযোগ নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। বরং আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষদের ভেতরে অদিতি একজন যাকে আমি আজীবন সম্মান করে যাব। তার সাথে এইটাও বলতে চাই অদিতির যেকোনো সম্মানহানিকর ব্যাপারে আমি এভাবেই ওর পাশে থাকব।”

“আমি আবারও বলছি, অদিতি আমার স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং আয়াশের মায়ের বিরুদ্ধে কোন ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র বা নোংরামিকে আমি মেনে নিব না। গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙ্গিয়ে অদিতি এবং আমাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো অনলাইন পত্রিকাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সাথে আবারো বলছি এই ধরনের কুরুচিপুর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী ছড়ানোর দায়ে আমি ঐ সকল অনলাইন পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

অপূর্ব বলেন, “আমি আরও স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, যে বা যারা এই নোংরা খেলার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আমি আইনের আওতায় আনব। আমি আশা করব মূলধারার গণমাধ্যমগুলো আমাকে এই ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করে সহায়তা করবেন। কারণ দীর্ঘ সময় মিডিয়াতে কাজ করার সুবাধে তাদের কাছে আমার এই দাবি থাকতেই পারে।”

একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সাহেদের সঙ্গে জড়ানোর কারণে শোবিজের দুই নারীর সংসার ভাঙে। কিন্তু অদিতি বরাবরই মিডিয়ার আড়ালে ছিলেন। অপূর্ব অভিনীত কয়েকটি নাটক লিখেছেন মাত্র।

 

উপরে