‘সময়মতো চিকিৎসা হলে মান্না মারা যেতেন না’
বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মান্না। তার অ্যাকশন ছবির কথা দর্শক এখনো ভুলেনি। তার কৃতিত্বের জন্য বেঁচে থাকবেন এই জনপ্রিয় নায়ক মান্না। অসংখ্য ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান এক সময়ের এই ঢালিউড কিং। তার মৃত্যুর এত দিন পরও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে—এমন অভিযোগও তুলেছিলেন মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না। এস এম আসলাম তালুকদার মান্নার সঙ্গে চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সঙ্গে আলাপকালে শেলী মান্নার অভিযোগের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন রুবেল।
রুবেল বলেন, মান্না সাহেব আমার খুব কাছের ছিলেন। একে অপরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা অন্যরকম ছিল। মান্না সাহেব ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টার দিকে যখন হাসপাতালে গেলেন, তখন চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ‘আপনার অবস্থা ভালো না খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন করতে হবে।’ কিন্তু তিনি অপেক্ষা করলেন স্ত্রী আর তার ভাইয়ের জন্য। শেলী ভাবি তখন দুবাইতে। ‘আপনার অবস্থা সিরিয়াস এখনই অপারেশন করেন’— তখন এই কথা বলার মতো কোনো লোকও তার পাশে ছিল না। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রুবেল বলেন, আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। আল্লাহ তা’লা লিখে রেখেছিলেন, তাই হয়তো এমনটা হয়েছে। তারপরও বলব, চিকিৎসকেরা চাইলে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। মান্নাতো একজন তারকা। কারো অনুমতির অপেক্ষা না করে তাকে বাঁচানোর জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এমনটা হতে পারত। তাহলে হয়তো মান্না সাহেব বেঁচে যেতে পারতেন। সাড়ে ৯টার দিকে যখন মান্না সাহেবকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। আমার কথা হলো, সময়মতো চিকিৎসা হলে মান্না সাহেব মারা যেতেন না।
অভিনয় ক্যারিয়ারে দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন মান্না। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—‘আম্মাজান, ‘লাল বাদশা’, ‘আব্বাজান’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধু এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’, ‘পিতা মাতার আমানত’, ‘তওবা’, ‘পাগলী’, ‘কাসেম মালার প্রেম’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘ত্রাস’, ‘তেজী’, ‘মিনিস্টার’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান’, ‘কুখ্যাত খুনী’, ‘রংবাজ বাদশা’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘মেজর সাহেব’, ‘সুলতান’, ‘ভাইয়া’, ‘বিদ্রোহী সালাহউদ্দিন’, ‘বাবা’, ‘কিলার’, ‘জনতার বাদশা’, ‘রাজপথের রাজা’, ‘এতিম রাজা’, ‘টোকাই রংবাজ’ প্রভৃতি।