ওসি প্রদীপসহ সাত আসামির আরো ৪ দিন রিমান্ড
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলালসহ ৭ পুলিশের আরো চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর এএসপি খায়রুল ইসলাম সাত দিন করে ফের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দলাল ছাড়া অন্য চার পুলিশ সদস্য হলেন বহিষ্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তাই রিমান্ড শেষে সোমবার আদালতে তোলা প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দলাল এবং ইতিমধ্যে রিমান্ড সম্পন্ন হওয়া চার পুলিশ সদস্যের আরো সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করি। কিন্তু আদালত সাত দিন নাকচ করে চার দিন রিমান্ড দেন।
এর আগে সপ্তাহব্যাপী রিমান্ডে বরখাস্ত হওয়া এ তিন পুলিশ সদস্যকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। আবার কিছু কিছু বিষয় নিয়ে রিমান্ডে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বা এপিবিএনের তিন সদস্যকেও মুখোমুখি করা হয় এ তিন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে। ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েও ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নেন র্যাব কর্মকর্তারা।
এদিকে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার জানিয়েছেন, রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সব আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একটি ভালো তদন্ত প্রতিবেদন উপহার দেব।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী প্রথমে কক্সবাজার জেলা কারাগার ও পরে আদালতের ৭ দিনের রিমান্ড আদেশের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে রয়েছে।
সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে আটকের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।