১০ বছরের শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যা, নদীতে ফেলল লাশ
দিশা মণি নামে এক স্কুলছাত্রীকে (১০) গণধর্ষণের পর হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়ার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রেমিকসহ তিনজন। ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তারা। রবিবার (৯ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর ও খলিলুর রহমান এবং মিল্টন হোসেনের আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
অভিযুক্ত তিনজন হলেন- বন্দর উপজেলার বরন্দি এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে প্রেমিক আব্দুল্লাহ (২২), একই এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে ইজিবাইক চালক রাকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান (৩৬)। নারায়ণগঞ্জের বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই শামীম আল মামুন বলেন, শহরের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার এক পোশাক শ্রমিকের শিশু দিশা মণির সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন আব্দুল্লাহ। তিন মাসের মাথায় তাকে নিয়ে ঘুরতে যান তিনি। এতে সহায়তা করেন তারই বন্ধু ইজিবাইকচালক রাকিব।
৪ জুলাই শিশুটিকে ইস্পাহানি ঘাটে নিয়ে যান আব্দুল্লাহ। রাত ৮টার দিকে শীতলক্ষ্যার ইস্পাহানি ঘাটে খলিলুর রহমানের নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরতে যান তারা। একপর্যায়ে নৌকার মধ্যে দিশা মণিকে ধর্ষণ করেন আব্দুল্লাহ। এরপর নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানও দিশাকে ধর্ষণ করেন। এতে কান্নাকাটি করলে খলিলুর রহমান দিশা মণির দুই পা চেপে ধরেন আর আব্দুল্লাহ গলা টিপে হত্যা করেন। পরে দুইজনে মিলে দিশামণির মরদেহ শীতলক্ষায় ফেলে দেন। ওই সময় রাকিব ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিল।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তিনজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেন তারা। নদী থেকে দিশা মণির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রাকিব ও আব্দুল্লাহর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন আদালত।
দিশা মণির বাবা বলেন, আমার দুই মেয়ের মধ্যে দিশা মণি ছোট। বাড়ির পাশে একটি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো দিশা। ঘটনার দিন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে থানায় মামলা করি। আমার মেয়ের লাশটাও পেলাম না। আমি মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।