নিজের বাবাকেও পেটাতেন সাহেদ
করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে উঠে আসছে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ। এবার নিজের বাবাকেও পেটানোর অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে।
সাহেদের একজন সাবেক দেহরক্ষী জানান, ২০১১ সালে সাহেদের বাবা ছেলের একান্ত সহকারীকে (পিএস) বিয়ে করেন। সাহেদের মা সাফিয়া করিম আগেই মারা যান।
সাবেক ওই দেহরক্ষী বলেন বৃদ্ধ বয়সে সাহেদের বাবা আশ্রয় খুঁজছিলেন। কারণ তাকে দেখভালের তেমন কেউ ছিল না। তবে পিএসকে বিয়ে করায় নিজের বাবাকে উত্তরার অফিসে প্রকাশ্যে বেল্ট দিয়ে বেদম মারধর করেন সাহেদ। এটা দেখে রিজেন্টের অনেক কর্মী বিস্মিত হয়ে যান। পরে সাহেদের বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসায় থাকতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তার একটি সন্তান রয়েছে।
সাহেদের অপকর্মের তথ্য জানতে র্যাব যে হটলাইন চালু করেছে সেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১৩০টি অভিযোগ এসেছে টেলিফোনে। আর বাকি ২০টি ই-মেইলে।
এ দিকে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর ১৭ জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র্যাব। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর ভুক্তভোগীদের আইনি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর গা-ঢাকা দেওয়া সাহেদকে গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ধরা পড়ার মুহূর্তে সাহেদ নিজেকে একজন গণমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেছিলেন।