ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২০ ২৩:৫৯

ঈদ সামনে রেখে সক্রিয় জালনোট তৈরি চক্র

অনলাইন ডেস্ক
ঈদ সামনে রেখে সক্রিয় জালনোট তৈরি চক্র

ঈদ এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে একাধিক জালনোট চক্র। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ সময় কোটি কোটি জাল টাকা বাজারে ছাড়ার মিশন নিয়ে মাঠে নামে তারা। এসব চক্রকে ধরার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো রয়েছে ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় দেশী-বিদেশী জাল টাকার কারবারি চক্র ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরো জানা যায়, সারাদেশে প্রায় দেড় হাজার জাল টাকার কারবারি চক্রের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধানীন। গত দশ বছরে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ হাজার দেশী-বিদেশী জাল টাকার কারবারি চক্রের সদস্যকে। এরমধ্যে একইজন একাধিকবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে বের হয়ে আবারো জাল টাকার কারবারে তৎপরতা চালাচ্ছে এমন নজিরও আছে। গ্রেপ্তারকৃত জাল কারবারির মধ্যে নারী সদস্যও আছে।

গতকাল সোমবার ও গত শনিবার র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ পাকড়াও করেছে তিনটি সংঘবদ্ধ জালনোট চক্রের সদস্যদের।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব-২ একটি দল। র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন জানান, ১ কোটি টাকার জাল নোট ও তৈরির সরঞ্জামসহ রিফাত ও পলাশ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চক্রটির মাঠ পর্যায়ে কিছু এজেন্ট রয়েছে তাদের ধারা মার্কেটে ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭০ লাখ টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামালা হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর বংশাল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা ও নোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার হলেন- মো. আলম হোসেন (২৮), মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে লামু (৩২) ও মো. রুবেল (২৮)।

গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই চক্রটি জালনোট তৈরি করে আসছিলো। কোরবানির পশুর হাট, শপিংমল ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের সময় কৌশলে বাজারে জাল নোট ছেড়ে দেয় এই চক্রের সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ও ৫০০ টাকা নোটের ৩২ লাখ জাল টাকা ও একটি ল্যাপটপ, একটি লেমিনিটিং মেশিন, দুইটি কালার প্রিন্টারসহ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পূর্বে তারা গ্রেপ্তার হয়ে পুনরায় জাল টাকার ব্যবসায় নিয়োজিত হয়েছে। এ বিষয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে।

অপরদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ মো. শামসুল হক নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১০।

র‌্যাব-১০ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মো. আবুল কালাম বলেন, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোটসহ মো. শামসুল হককে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২ টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার আসল টাকা উদ্ধার করা হয়।

মো. আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সে দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে। আসন্ন কোরবানি ঈদে পশুর হাটকে সামনে রেখে সে সক্রিয় হচ্ছিল। এদিকে আটক আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব-১০ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার।

 

উপরে