ভুয়া চিকিৎসক, নামের আগে লেখেন বিশেষজ্ঞ!
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পলাশ কান্তি সাহা (৪০) নামে ভুয়া বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রামমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
এর আগে এক গৃহবধূ রোগির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে শহরের নিউমার্কেট আবাসিক এলাকার নূর আলম আবাসিক বোর্ডিং এর একটি কক্ষ হতে তাকে আটক করা হয়।
দণ্ডিত ভূঁয়া চিকিৎসক পলাশ পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম ডুমরিতলা গ্রামের মৃত হরিদাস সাহার ছেলে। তিনি মঠবাড়িয়ার নিউমার্কেট আবাসিক এলাকার নূর আলম আবাসিক বোর্ডিং-এ একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে প্রতি মঙ্গলবার পিরোজপুর জেনারেল ও চক্ষু হাসপাতালের প্যাড ব্যবহার করে নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চালিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো।
জানাগেছে, আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেল নামে ব্যবসায়ীর স্ত্রী তানজিলা আক্তার (২২) চোখের চিকিৎসার জন্য ওই ওই চিকিৎসকের চেম্বারে যান। এসময় ওই গৃহবধূ চিকিৎসা ও ওষুধপত্র দেখে সন্দেহ হয়। বিষয়টি তিনি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিকের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে। এসময় পুলিশ পিরোজপুর চক্ষু হাসপাতালের প্যাড ও ওই হাসপাতালের স্লিপ বহি, চোখের পাওয়ার পরীক্ষার লেমিনেটিং করা দুই পাতার বই, একটি পুরাতন প্রাকটিসের চায়না টর্চলাইট, একটি মিনি চোখের পাওয়ার পরীক্ষার ফ্রেমসহ বিভিন্ন টিকিৎসা সরঞ্জামাদি জব্দ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারার অপরাধ করায় ওই ভুয়া ডাক্তার পরিচয়দানকারীর বিরুদ্ধে এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এ ধরণের ভুয়া ডাক্তার দ্বারা অপচিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।