জেকেজি কেলেঙ্কারিতে আড়ালে কেন স্বাস্থ্য ডিজি?
রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারিতে স্বাস্থ্য ডিজি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত না হলেও এই বিষয়টিতে তাঁর নাম উঠে এসেছে এবং তাঁর ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, ঠিক একইভাবে প্রশ্নবিদ্ধ জেকেজি’র ঘটানাতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ যিনি কোথাও পরিদর্শনে যাননা, কোনো হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করতে যাননি, সেই ব্যক্তি জেকেজি’র নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। কেন করতে গিয়েছিলেন সে এক বিরাট প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন আরিফ চৌধুরী বা ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করলেই শুধু হবেনা, জেকেজি’কে কেন নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হলো, কারা দিল, কেন দিল সেটাও তদন্তের স্বার্থে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আনা উচিত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যেমনটা বলেছেন যে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল। পরে দেখা গেল যে, তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশের কথা বলছেন, জনপ্রশাসনের কোন আইনে মৌখিক নির্দেশ প্রতিপালনের কোন বিধান নেই এবং মৌখিক নির্দেশ কোন নির্দেশ বলে পরিগণিত হবেনা। এরকম একটি টেলিফোনের নির্দেশ প্রতিপালন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দায় এড়াতে চাইছেন।
অনেকেই মনে করছেন যে, জেকেজি’কে নমুনা পরীক্ষার অনুমতি কিভাবে দেওয়া হলো সে ব্যাপারেও তদন্ত করা দরকার। বিশেষ করে এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ ডা. আরিফ সাবরিনাকে গ্রেপ্তারের পর এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, জেকেজি’র এরকম নমুনা সংগ্রহের কোন যোগ্যতা ছিল না, পূর্ব অভিজ্ঞতাও ছিল না এবং তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ভূয়া নমুনা পরীক্ষা করে আসছিল। তাহলে জেকেজি’কে অনুমোদন দিয়েছে কারা? স্বাস্থ্য ডিজি দিলো নাকি এখানেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলবেন যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি জেকেজি’কে অনুমোদন দিয়েছেন।