ডা. সাবরিনার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক
করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরিতে অভিযুক্ত জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা চৌধুরীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি জানান, সরকারি চাকরিতে কর্মরত থেকে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে।
ভুয়া রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে তেজগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে উঠালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) বিনা মূল্যে করোনা পরীক্ষার অনুমতি নিয়ে জালিয়াতি করে আসছিলো। এ ঘটনার পর গ্রেফতার হন ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানের আরও চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ওভাল গ্রুপ লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেকেজি। এটি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দিবসের কাজ পেয়ে আসছিল ওভাল।
জিজ্ঞাসাবাদকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আরিফুল ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা মাদকাসক্ত। বিশেষ করে তারা ইয়াবা সেবনকারী। গত মে মাসে সরকারি তিতুমীর কলেজের করোনা বুথে রাতের বেলায় তারা ইয়াবার আসর বসিয়েছিল। ছাত্রলীগ বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ডা. সাবরিনার ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বেদম মারপিট করে। তারা বিভিন্ন বুথে রাতের বেলায় মদ ও ইয়াবার আসর বসাতো।
এসবের খবর পেয়েই তেজগাঁও থানা পুলিশ গুলশানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। মূলত ডা. সাবরিনা এই করোনা টেস্ট রিপোর্ট ভুয়া দিতেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী আরিফুল চৌধুরী। গুলশানের জোবেদা খাতুন সার্বজনীন হেলথ কেয়ার অফিস থেকে পুলিশ করোনার ১৫ হাজার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট পেয়েছে।