ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০২০ ১২:৫৫
সূত্র :

ভারতে পালাতে পারেন শাহেদ, সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক
ভারতে পালাতে পারেন শাহেদ, সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা

করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়াসহ নানা অনিয়মের কারণে সিলগালা করা রিজেন্ট হাসপাতাল মালিক এখন কোথায় আছেন, জবাব দিতে পারছে না কেউ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারা বলছেন, শাহেদকে ধরার ক্ষেত্রে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছেন না তারা। তবে এর মধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যেন ভারতে পালিয়ে যেতে পারে শাহেদ। সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার সময় সংবাদকে এ সতর্ক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানও। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের পর বিনিময় সূত্রে শাহেদের দাদা করিম ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে সাতক্ষীরায় আসেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের তথ্য ও প্রচার বিভাগের চাকরি করতেন তার দাদা। করিম সাহেবের দুই ছেলে। বড় ছেলে সিরাজুল করিমের ছেলে শাহেদ করিম। দেশ বিভাগের পর বেশি সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামে কাটিয়েছেন তারা। ৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে শাহেদের বাবা সাতক্ষীরায় চলে আসেন। ৯০’র দশকে তার মা সাফিয়া করিম ফেন্সি সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ওই পদেই ছিলেন। তবে শাহেদ সাতক্ষীরায় থাকতেন না। সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন এসএসসি পরীক্ষার আগেই চলে যান ঢাকা।   এরপর বিডিএস মাল্টিমিডিয়া কোম্পানি খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে শাহেদ তার অবস্থান তৈরি করেন। চোরাকারবারের মাধ্যমে ও বেকার যুবকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়লে শাহেদ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর বারাসাতে দুই বছর কাটান। তাই আবারও এপথ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম। শাহেদ আওয়ামী লীগ, বিএনপির বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখার পাশাপাশি যোগাযোগ রক্ষা করেছেন আমলা-মন্ত্রীদের সঙ্গে। তাই তাকে আইনের আওতায় আনা যাবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফাইমুল হক কিসলু। শাহেদের বিচার দাবি করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন। সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে শাহেদ যেন পালাতে না পারে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।

 

উপরে