দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ
টানা তৃতীয় দিনের মতো মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রোববার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ।
আর সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনূভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু শৈতপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বলা হয়। যদি তাপমাত্রা ৪ থেক ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকে তাকে তীব্র শৈতপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে তাকে বলা হয় তীব্র শৈতপ্রবাহ। সে হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈতপ্রবাহ বইছে।
এদিকে, মৃদু শৈতপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
সকালে সড়ক-মহাসড়কে সাধারণ মানুষের চলচল তুলনামূলক কম। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সবচে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
তীব্র ঠাণ্ডায় জেলা জুড়ে বেড়েছে শীত জনিত রোগ। চুয়াডাঙ্গায় রোটা ভাইরাস আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। সেই সাথে শীতে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডা, সর্দিকাশি জনিত রোগ।