ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:২৫

ট্রাফিক পুলিশকে মারধর, সেই ২ নারী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ট্রাফিক পুলিশকে মারধর, সেই ২ নারী আটক

কুষ্টিয়ায় দায়িত্বরত অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক দুই নারী।

কুষ্টিয়ায় নাজমুল ইসলাম নামে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ও স্যান্ডেল পেটার ঘটনায় সেই দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া শহর এলাকায় অবস্থিত বাড়ি থেকে ওই দুইজন নারীকে আটক করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন-  কুষ্টিয়া পৌরসভার আবু হানিফ লেনের আশরাফুল ইসলাম মতিনের স্ত্রী সোহানা ইসলাম রোজা এবং হাউজিং ডি-ব্লক এলাকার রিপন আলীর স্ত্রী সানজিদা আক্তার শান্তা। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে কোর্ট স্টেশন মসজিদের সামনের মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম। তখন স্টেশনে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ে। ওই দুই নারী একটি বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত যানজট থাকায় রিকশায় থাকা দুই নারীর রিকশা আটকে দেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কনস্টেবল। তবে তারা ট্রেনের সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ কনস্টেবল। সেখান থেকেই তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। মারধরের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাটি নিয়ে জেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

স্থানীয় একটি ফার্মেসির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নাজমুল হোসেন (৪৮) নামে ওই ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় একজন নারী তড়িঘড়ি করে এসে আচমকা তাঁকে চর থাপ্পড় মারতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর আরও একজন নারী এসে মারধর শুরু করেন এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। একপর্যায়ে দুই নারী তাদের স্যান্ডেল খুলে নাজমুলকে পেটাতে থাকে।

স্থানীয়রা ছুটে এসে দুই নারীকে থামতে বলেন এবং ট্রাফিক পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলা হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ওই দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

উপরে