লঞ্চে উপেক্ষিত স্বাস্থ্য বিধি, সামাজিক দূরত্ব, ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল
শিল্পকারখানা খোলায় আজও ঢাকাও কর্মস্থলমুখি মানুষের চাপ রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে। তবে রোবাবার (১ আগস্ট) সকাল হতে লঞ্চ সচলে ফেরিতে তুলনামূলক কমেছে যাত্রীদের উপস্থিতি আর সড়কে গনপরিবহন সচলে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌছে সহজেই যাত্রীরা পারি দিতে পারছে গন্তব্যে কমেছে ভোগান্তি।
এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি দুই নৌরুটের লঞ্চ যাত্রীদের উপচেপড়া ভীড় রয়েছে। রোবাবার (১ আগস্ট) সকাল হতে দুই নৌরুটে চলাচল করছে ৮৬টি লঞ্চ । শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি লঞ্চেই দেখাযাচ্ছে যাত্রীদের গাদাগাদি। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ গুলো পারি দিচ্ছে পদ্মা। এতে লঞ্চে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্য বিধি, সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি দূর্ঘটনার ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, শিমুলিয়াঘাটে পৌছে বাস সহ বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রীরা ঢাকা সহ গন্তব্যে পারি দিচ্ছে। বাড়তি যাত্রীদের উপস্থিতিতে আজও অনেক কর্মস্থল মুখি মানুষকে ট্রাক সহ স্বল্পগতির যানবাহনে গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে নৌরুটে আজ সকাল রোবাবার (১ আগস্ট) থেকে ১০টি ফেরি ও ৮৬টি ল চলাচল করছে।
গার্মেন্টস শ্রমিক মাজেদা বেগম নারায়ণগঞ্জ একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ভোগান্তির ছাড়াই পাড়ি দিয়েছে শিমুলিয়া ঘাট থেকে। তবে ফরিদপুরে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত আসতে তার বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাস চলাচল করাতে ঢাকা যায়।
আল আমীন বরিশাল থেকে দুই হাজার টাকার উপরে খরচ গেছে বাংলা বাজার ঘাট পর্যন্ত আসতে। পরিবারের সদস্য পাচ জন। শিমুলিয়া ঘাটে এসে বাসে রওনা দেবে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব রহমান জানান, নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে বর্তমানে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। আজও ফেরিতে প্রচুর যাত্রীরা আসছে। তবে ল চালু হওয়ায় গতকালকে যাত্রী চাপ কমেছে অনেকটাই। শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায় তবে মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যায়ই বেশি।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চ ঘাটের পরিদর্শক মোঃ সোলেইমান জানান, দুই নৌরুটে ৮৬টি ল সচল আছে। দক্ষিনবঙ্গগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত সকল লঞ্চ চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে যাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।