আদমজী ইপিজেডে শ্রমিকদের সাথে আনসারদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে আনসার ও ইপিজেডের নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে নারী শ্রমিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। তবে শ্রমিকরা আহত শ্রমিকদের নাম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন আতঙ্কের কারণে।
বকেয়া বেতন ও বন্ধ হওয়া ফ্যাক্টরী খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় আদমজী ইপিজেডের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে। একপর্যায়ে তাদের ওপর আনসার ও ইপিজেডের নিরাপত্তাকর্মীরা লাঠিচার্জ শুরু করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়ক অবরোধ করেন।
পরে ঘটনাস্থলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বুঝিয়ে দুপুর সোয়া দুইটায় তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়। শ্রমিকরা জানায়, গত বছরের ১০ আগস্ট হঠাৎ দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই বন্ধ আরও বৃদ্ধি করতে করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে বন্ধ হওয়ার পরেও শ্রমিকদের ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে বেতন পরিশোধ করে আসছিল মালিকপক্ষ।
তার ধারাবাহিকতায় আজ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ আগামী ১২ জানুয়ারি বেতন দেওয়ার ঘোষণা দেয়। যার কারণে প্রায় ১ হাজার শ্রমিক বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় আদমজী ইপিজেডের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। সেখানেই তাদের ওপরে আনসার ও ইপিজেডের নিরাপত্তা কর্মীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
আনসার ও নিরাপত্তাকর্মীদের লাঠিচার্জের শিকার হয়ে শ্রমিকরা বেলা সাড়ে ১১টায় শিমরাইল-নারায়ণগঞ্জ ইপিজেড সড়কের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। এখানে দ্বিতীয় দফায় তাদের ওপর চড়াও হয় আনসার ও নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইপিজেডের আরেক গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় খবর পেয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে।
এসময় পুলিশ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুপুর সোয়া দুইটায় তাদের আন্দোলন স্থগিত করে স্থান ত্যাগ করে। শ্রমিকদের দুই দফা আন্দোলনে ব্যস্ততম ইপিজেড সড়ক অবরোধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ এর সিনিয়র এএসপি আইনুল হক জানায়, আমরা মালিকপক্ষ থেকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আদায় করে দেয়ার আশ্বাস দিলে তারা সড়ক ছেড়ে দেয়। আমরা মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের বকেয়া দ্রুত আদায় করে দেয়ার চেষ্টা করব।