বঙ্গোপসাগরে বিকল জাহাজ সচল, ১৭০ পর্যটক নিয়ে টেকনাফে ফেরত
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ-রুটে চলাচলকারী এসটি ভাষা শহীদ জাহাজটি সচল হয়েছে। এর আগে বঙ্গোপসাগরে এর ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকে পড়ে পর্যটকেরা। জাহাজটি এখন সচল হওয়ায় এই জাহাজে করেই কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরত এসেছেন ১৭০ জন পর্যটক।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির টেকনাফের পরিচালনা ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন। তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে জাহাজটি টেকনাফে এসে পৌঁছেছে।
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সেন্টমার্টিন জেটি থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে এসটি শহীদ সালাম টেকনাফের উদ্দেশে রওনা করে। এর আগে গতকাল রবিবার ইঞ্জিন বিকল হয়ে ২০৫ জন পর্যটকসহ বঙ্গোপসাগরে আটকা পড়েছিল সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফগামী এসটি ভাষা শহীদ সালাম। আড়াই ঘণ্টা সাগরে আটকা থাকার পর জাহাজটির বেশকিছু যাত্রী স্পিডবোট ও ট্রলারে করে সেন্টমার্টিনে ফেরত নেওয়া হয়। তবে জাহাজটি সারারাত সাগরে নোঙর করা অবস্থায় ছিল।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পর্যটকদের নিরাপদে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন জাহাজটির নষ্ট হয়ে যাওয়া গিয়ারের মোটর বক্স মেরামত করা হয়।
জাহাজটির টেকনাফের পরিচালনা ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গতকাল জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যেতে পারেনি। জাহাজের পর্যটকদের রাতে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জরুরি কাজ থাকায় ৩৫ জন পর্যটককে স্পিডবোটের মাধ্যমে সকালে টেকনাফে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। রাতেই চট্টগ্রাম থেকে টেকনিশিয়ান এনে সকালের দিকে জাহাজের গিয়ার বক্স মেরামত করা হয়। পর্যটকদের অনুরোধে আজ বিকালের দিকে আটকে পড়া ১৭০ জনকে নিয়ে জাহাজটি সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে।
ওই জাহাজে থাকা পর্যটক রাজশাহীর একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাদেকুর রহমান মোবাইলফোনে বলেন, জাহাজটির ইঞ্জিনের সমস্যা হওয়ায় গতকাল সেটি ফিরতে পারেনি। তবে জাহাজ কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছিল।