অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
অর্থ আত্মসাতসহ ক্ষমতা অপব্যহারের অভিযোগে বরিশাল নগরীর আছমত আলী খান (একে) ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফ করে তা আত্মসাত এবং অকৃতকার্য ছাত্রদের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত মোট ৫ লাখ টাকা আত্মসাতসহ ১০টি অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব করে কর্তৃপক্ষের কাছে। শনিবার বিকেলে স্কুলের অফিস সহকারি জামাল হোসেন সন্যামত স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ম্যানেজিং কমিটি সভায় প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানানো হয়।
অফিস সহকারি জামাল হোসেন সন্যামত বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ২ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। তার উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মনোজ হালদার, সহকারি শিক্ষক ইসরাত জাহান সিলভী ও মামুন হাওলাদার। তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগের প্রমাণ পায় কমিটি। পরে ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আছমত আলী খান (একে) ইনস্টিটিউশন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুদ হাসান বাবু বলেন, তদন্তে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাসহ আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, তদন্তকালীন সময় তাকে এক মাস বাধ্যতামূলক ছুটিতে রাখা হয়। এ কারণে তারা তাদের ইচ্ছে মতো একপেশে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। যা বিধিসম্মত হয়নি।