টঙ্গীতে চলছে দুই দিনের জোড় ইজতেমা
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে নির্মিত টিনসেডের মসজিদে জিকির আসকার ও মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্য দিয়ে চলছে দুই দিনব্যাপী (পরামর্শমূলক সভা) জোড় ইজতেমা।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই ইজতেমা। আমলী শূরার (শুরা-ই-নেজাম) তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ঢাকা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার নির্ধারিত প্রায় ৪ হাজার তিন চিল্লাধারী মুসল্লি এতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের সমন্বয়ে কার্গোজারি (পরামর্শমূলক সভা) পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ১ বছর কী কী কাজ করবেন, সে বিষয়ে তিন দেশের মুরুব্বিরা দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ করছেন। কাল শনিবার সকাল দশটা থেকে ১১টার মধ্যে মাওলানা ফারুক আহমেদের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটবে। শুক্রবার টিনসেড মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ইজতেমার মুরুব্বি সুলাইমান শরীফ। বাদ জুমা সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ। ঢাকা কেরানিগঞ্জ থেকে আসা তিন চিল্লার সাথী আবুল কাশেম (৫৫) জানান, করোনা পরিস্থিতির জন্য এবারের জোড় ইজতেমায় গণহারে চিল্লার সাথীদের ময়দানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আমাদের জামাতে ১০০ জন তিন চিল্লার সাথী ভাই থাকলেও মুরুব্বিদের নির্দেশে মাত্র আটজন এখানে এসেছি। ইচ্ছা করলেও অতিরিক্ত কেউ আসতে পারছে না। সবাই আসার অনুমতি থাকলে কয়েক লাখ মুসল্লি জোড় ইজতেমায় অংশ নিতো। শনিবার মোনাজাতের পর আবার দাওয়াতের কাজে বেরিয়ে যাব।
এ বিষয়ে আলমী শূরার মুরুব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, এই (কার্গোজারি) পরামর্শমূলক সভায় গত এক বছরে কে কী করেছে এবং আগামী এক বছর কী কী করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কথা হবে। পরে যার যার এলাকায় গিয়ে অন্যান্য সাথীদের নির্দেশনা দেবেন।
জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎ মিস বলেন, ময়দানের উত্তর পাশে টিনসেডে চার জেলার মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার সকালে তারা সভা শেষ করবেন। আগত মুসল্লিদের সেবায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অবস্থিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।