ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৭

হাতিয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ৮

অনলাইন ডেস্ক
হাতিয়ায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ৮

বরযাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার , ৪০ জন জীবিত ও  বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাতিয়া নৌ- পুলিশের ইনচার্জ আকরাম উল্যা। 

এদিকে বুধবার সকালে কোষ্টগার্ডের ৪ সদস্যের একটি ডুবরি টিম নিখোঁজদের উদ্ধার করতে হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

নিখোঁজ ৮জন হলো হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের থানার হাট এলাকার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৫৫), একই এলাকার কাদেরর ছেলে হাসান (৭), মেয়ে নারগিছ বেগম (৪), একই এলাকার রুবেলের মেয়ে হালিমা (৪), একই এলাকার মহি উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (৩), একই এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা  (১) , একই এলাকার ইলিয়াছের ছেলে আমির হোসেন (৬), ও  রহিমের ছেলে আলিপ (১)।  

এদিকে নিহত ৭জনের লাশ আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সকালে সকলের পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাপন করা হয়। 

হাতিয়া কোষ্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জানান, নিখোঁজ ৮ জনকে খোঁজতে ভোলা থেকে ডুবরি দলা আনা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে হাতিয়ার টাংকির ঘাট থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা এই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

একই ভাবে হাতিয়া নলচিরা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আকরাম উল্যার নেতৃত্বে একটি টিম নদীতে কাজ করছে। তারা সকাল থেকে বিভিন্ন চরে জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকজনকে তাদের বাড়ী বাড়ী পৌছে দিচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকালে কনেসহ বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাতিয়ার চানন্দী ঘাট থেকে বরের বাড়ী ঢালচরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি ঢালচরের কাচাকাছি এলে প্রবল স্রোতে নদীতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এই ঘটনায়  কনে তাছলিমাসহ ৭জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  এসময় ট্রলারের মধ্যে নারী পুরুষ শিশু সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক ছিল বলে জানানযায়। 

কনের পিতা ইব্রাহীম সওদাগর জানায় তার মেয়ে তাছলিমার সাথে হাতিয়ার ঢালচরের বেলাল মেস্তুরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিনের বিবাহ হয়। মঙ্গলবার তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বরের বাড়ীতে নেওয়ার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

 

উপরে