ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:১১

ব্যবসায়ীকে মারধর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন রিমান্ডে

অনলাইন ডেস্ক
ব্যবসায়ীকে মারধর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন রিমান্ডে

নওগাঁর মহাদেবপুরে ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদসহ তিনজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার সকালে নওগাঁর আদালতে হাজির করা হলে তাদের রিমান্ডের আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজধানী আশকোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

পরে রাতেই নওগাঁ পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করা হয়।  গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি রাজু আহমেদ (৩০), ছাত্রলীগ নেতা নয়ন (২৫) ও ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান মহুরী (২২)।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গত ০৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরএফএল-ভিগো শোরুমের স্বত্তাধিকারী সোহেল রানার দোকানে ঢুকে তাঁকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনায় গত ০৬ সেপ্টেম্বর রাজু, নয়নসহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই নওগাঁ পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করা হয়। বুধবার সকালে তাদের আদালত পাঠানো হয়।

নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান বলেন, রাজুর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর সংগঠন থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ৩ দিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি তার জবাব না দেওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

গত ০৬ সেপ্টেম্বর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডের আরএফএল-ভিগো শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী সোহেল রানা বাদি হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও ছাত্রলীগ নেতা নয়নসহ আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন যে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ০৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তারা সোহেলের দোকানে গিয়ে তাকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ক্যাশ থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা, স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

পরে সোহেলের দোকানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে মারধরের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

 

উপরে